হু হু বাড়ছে কনজাংটিভাইটিস! আক্রান্ত দিল্লি-বাংলা সহ গোটা দেশ, AIIMS’এ ভর্তি ৫০০’র বেশি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্ষা প্রবেশের সাথে সাথে দেখা দিয়েছে চোখের সমস্যা। কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis) বা জয় বাংলার সমস্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে বাংলা জুড়ে। চোখের সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দিল্লি-নয়ডাতেও। চোখের সমস্যার কারণে প্রতিদিন একশোর বেশি মানুষ ভর্তি হচ্ছেন দিল্লির এইমসে (All India Institute Of Medical Sciences)।

হাজার হাজার মানুষ গোটা দেশজুড়ে আক্রান্ত এই চোখের সমস্যার জেরে। চিকিৎসকেরা বলছেন এই সমস্যা থেকে বাঁচতে অবশ্যই সাবধানে থাকা জরুরি। দিল্লির সেন্টার ফর সাইটের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. হর্ষ কুমারের কথায়, দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় অন্তত 646 জন আক্রান্ত হয়েছেন কনজাংটিভাইটিসে।

গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শার্প আই হাসপাতালের ডিরেক্টর ডা. সমীর সুদ জানাচ্ছেন, কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ বেশি দেখা যায় বর্ষা ও বসন্তকালে। এই বছর রোগের প্রকোপ একটু বেশি ছড়িয়েছে। রোগীদের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের কাছে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা, রেহাই পাচ্ছেন না কেউই।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই রোগ সংক্রামক। করোনা মহামারীর জন্য গত তিন বছর বিধিনিষেধ জারি থাকায়, এই রোগের প্রকোপ কম ছিল। বাচ্চারা অনেক সময় চোখে-মুখে হাত দিয়ে ফেলে। ফলে একজনের থেকে অন্য জনের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ছোট বড় সকলেই আক্রান্ত হন।

conjunctivitis

এই রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, নয়ডা, গুজরাত, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ: চোখ লাল হওয়া, চোখে জ্বালা করা, চোখে অস্বস্তি হওয়া, স্ফীত চোখ, চোখ দিয়ে জল পড়া। অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসে ডিসচার্জ বেশি থাকার জন্য ঘুম থেকে উঠার পর চোখের পাতা জুড়ে যেতে পারে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর