বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুসলিম তোষণের রাজনীতি করেন মমতা (Mamata Banerjee)। এই দাবি তুলেই বারংবার রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেন বিরোধীরা। কিছুদিন আগে হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছে তৃণমূল জমানার সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট। সেই সময়ও তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিধঁতে বিন্দুমাত্র সময় ব্যয় করেনি বিজেপি। ওদিকে ওবিসি সংরক্ষণের নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার মুসলিম তোষণ করছে বলেও দাবি বিরোধী দলের।
বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে একাধিকবার মুসলিম (Muslims) তোষণের অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। আর এবার এক স্কুল নির্দেশিকাকে হাতিয়ার করে আসরে নামল বিজেপি (BJP)। বাংলা (West Bengal) কি ধীরে ধীরে ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে? পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল (সাবেক টুইটার) থেকে এমনই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হল বঙ্গ শাসকদলের দিকে।
শুক্রবার ‘স্পেশাল’ টিফিন ব্রেক!
সম্প্রতি বীরভূম জেলার রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন (Rampurhat Jitendralal Vidyabhaban) তরফে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তি সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই শুক্রবার বেলা ১২.১০ থেকে ১. ১০ পর্যন্ত টিফিন ব্রেক দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দিনের জন্য অবশ্য সেই রুটিন আলাদা। শুক্রবার বাদে বাকি প্রত্যেক দিন নির্ধারিত সময় মতো বেলা ১. ৩০ থেকে ২. ১০ পর্যন্ত টিফিন ব্রেক। তবে ব্যতিক্রম শুধুমাত্র শুক্রবার।
গত জুন মাসের ২৬ তারিখ স্কুল তরফে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য জারি করা এই বিজ্ঞপ্তি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সেখানে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরও রয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিকে হাতিয়ার করেই টুইটে বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে, ‘তবে কি বাংলা ধীরে ধীরে ইসলাম রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে? রাজ্যের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গা পূজা বিসর্জন বন্ধ করার পরে, এবং চোপড়ার একজন টিএমসি বিধায়ক জামালপুরে তালেবান অনুশীলনের মতো বেত্রাঘাতের ঘটনা সহ শরিয়তি আইন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান, মনে হচ্ছে তৃণমূল বাংলার ভাগ্য এবং জনগণের বৈশিষ্ট পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে।’
উক্ত বিদ্যালয়ের নোটিস টুইটে জুড়ে দিয়ে বিজেপি তরফে আরও লেখা হয়, ‘রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন থেকে একটি সরকারী বিজ্ঞপ্তি শুক্রবারের টিফিন বিরতির সময়সূচী পরিবর্তন করেছে নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই।যাইহোক, এই পরিবর্তনের পিছনে কারণ অনেকের কাছে স্পষ্ট।’
https://x.com/BJP4Bengal/status/1809238291205484906
https://x.com/bjp4bengal/status/1809238291205484906?s=48
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে বিরাট মোড়! অবশেষে ED-কে সেই তালিকা দিল রাজ্য, বাতিলের পথে লক্ষ লক্ষ কার্ড?
প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্মে শুক্রবার অর্থাৎ জুম্মাকে আল্লাহর ইবাদত করার জন্য বিশেষ বলে মনে করা হয়। ইসলাম মতে জুম্মার নামাজ পড়লে আল্লাহ তাদের সব ইচ্ছা পূরণ করে। তাহলে কি নামাজের জন্যই শুক্রবার কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া স্কুলের জন্য বিশেষ রুটিন রাখা হল? যদিও বা সেটা না হয় তাহলে কেন কোনো কারণ উল্লেখ করা হল না স্কুল তরফে? তাহলে কি বিজেপির দাবিই ঠিক? এইসব প্রশ্নেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল