বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কে নানা ভাবে একাধিক ইস্যু নিয়ে কটাক্ষ করেন। আর এবার আবারও বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। এবার নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার তামলিবাঁধ এলাকায় সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই একাধিক ইস্যু নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি। পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অশান্তি প্রসঙ্গে ইঙ্গিতে রাজ্যকেই আক্রমণ করেন তিনি। এদিন ইঙ্গিতে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়েদেন যে, যোগীর পথে হাঁটলে অনেক আগেই শান্ত হত বাংলা। দুর্ভোগের শিকার হতে হত না রাজ্যবাসীকে।
মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, “যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা ঢুকবে। আর গোটা ভারতে তাণ্ডব করবে।” এরপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করে শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আসুন গেরুয়া ডান্ডা শক্ত করে, বুলডোজার সরকার নিয়ে আসি। যে সরকার বুলডোজার চালিয়ে আবর্জনা সরিয়ে দেবে।” বিরোধী দলনেতার এই বুলডোজার মন্তব্য ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
উল্লেখ্য, বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মা বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন হজরত মহম্মদকে নিয়ে। ২০টি দেশ এই মন্তব্যের নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে। তার আঁচেই উত্তপ্ত হয়েছে বাংলাও। গত বৃহস্পতিবার থেকে হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনা জারি রয়েছে। এছাড়ায় জেলায় জেলায় চলেছে অশান্তি, বিক্ষোভ। শুক্রবারও ধূলাগড় ও উলুবেড়িয়ায় জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। পুলিশ কিয়স্কে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। শনিবার হাওড়া, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি হয়েছে। রবিবারও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে এসেছে অশান্তির ছবি।
তিনি আরও দাবি করে বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সঠিক পদক্ষেপ করা হয়নি। “চারদিন ধরে পশ্চিম বাংলাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে। বৃহস্পতিবার ৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ১৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে ছিল। যখন যোগীজি পিঠে ডান্ডা ফেলছেন, ভাল করে বুলডোজার চালাচ্ছেন, তখন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হাতজোড় করে বলছেন তোমরা ওঠো।”যোগীর পথে হাঁটলে অনেক আগেই শান্ত হত বাংলা। দুর্ভোগের শিকার হতে হত না রাজ্যবাসীকে এমনি মন্তব্য করে বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।