৭ বছর পর যোগী আমলেই ফাঁসির সাজা পেল ৪ জন আতঙ্কবাদি

রামপুরে CRPF এর উপর আতঙ্কবাদী হামলার মামলায় শনিবার আদালত ওই আতঙ্কবাদীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে। এই আতঙ্কবাদীদের অখিলেশ যাদবের আমলে বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছিল বলে খবর সামনে আসছে। অখিলেশ যাদব-নেতৃত্বাধীন  SP সরকার দ্বারা মামলা প্রত্যাহারের চেষ্টা করা হয়েছিল। এর জন্য একটি চিঠিও পাঠিয়েছিল অখিলেশ যাদব সরকার। প্রশাসন এতে আপত্তি জানিয়েছিল, যার কারণে মামলাটি ফেরানো যায়নি। এই আতঙ্কবাদীদের মধ্যে একজন পাকিস্তানিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই সন্ত্রাসী হামলায় ৭ জন জওয়ান নিহত হয়েছিলেন।

IMG 20191104 110816

 

সমাজবাদী পার্টি ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তার ঘোষণাপত্রে ঘোষণা করেছিল যে সন্ত্রাসবাদ মামলা থেকে নিরীহদের মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের মামলা প্রত্যাহার করা হবে। অর্থাৎ আতঙ্কবাদীদের বাঁচানোর দায়িত্ব নিয়েছিল অখিলেশ যাদব ও আজম খানের নেতৃত্বে থাকা পার্টি। এর পরে, এসপি ক্ষমতায় আসেন এবং অখিলেশ যাদব মুখ্যমন্ত্রী হন। এর পরে সরকারও এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিল। রামপুরের মামলা প্রত্যাহার করতে সরকার জেলা প্রশাসনকে একটা চিঠি লিখেছিল।

 

কিন্তু প্রশাসন জানিয়েছিল যে এই মামলা প্রত্যাহার করা ঠিক হবে না। এটি একটি গুরুতর বিষয় এবং মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তাই সেই সময়ের উত্তরপ্রদেশ সরকার মামলা প্রত্যাহার করেনি। সেই সময় কিছু লোক মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটির বিরোধিতাও করেছিল, আবার কিছু লোক চেয়েছিল মামলাটি ফেরত দেওয়া হোক। ওই সময় রামপুরে চার আইএসআই এজেন্টের মামলাও বিচারাধীন ছিল। এই মামলাটিও ফেরানো যায়নি।

 

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনে কুমার সিংহ বলেছিলেন যে বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। মামলা প্রত্যাহারের জন্য একটি চিঠিপত্র ছিল কিন্তু, প্রশাসন মামলাটি প্রত্যাহারের বিষয়ে আপত্তি জানায়।রামপুরে CRPF হামলার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে গোলাম কাশ্মীরের ইমরান শাহজাদ, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুহাম্মদ ফারুখ পুত্র বোটা বাট্টি, বিহারের ছেলে সাবাউদ্দিন শব্বির আহমেদ, মহারাষ্ট্রের গোর গ্রামের ফাহিম আনসারী, ইউপির প্রতাপগড়ের কাদিরউদ্দিনের ছেলে মুহাম্মদ কাউসার খান, বরেলির থান বাহেদির গুলাব খান পুত্র শমসের খান, মুরাদাবাদের মিলাক কামরু গ্রামের বাহাদুর  খান খান এবং রামপুরের মহম্মদ শরীফ। এখন এদের মধ্যে ৪ জন ফাঁসির সাজা শোনানো হয়েছে।


সম্পর্কিত খবর