বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নভেম্বর বিপ্লবের পতাকা উত্তোলনের পর থেকেই দেওয়া হচ্ছিল হুমকি। তারপর সোমবার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধোর করে দুস্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে, পথেই মৃত্যু হয় সিপিএম (cpim) কর্মী বাদল শেখের। এমনই এক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে বীরভূম থেকে। অভিযোগের তীর তৃণমূলের (tmc) দিকে।
বীরভূমের (birbhum) নানুরের বালিগুলি গ্রামের বাসিন্দা বছর ৬০-র বাদল শেখ এলাকার সিপিএম কর্মী হিসেবেই পরিচিত। বাদল শেখের পরিবার অভিযোগ করেছে, সিপিএম করার অপরাধেই, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করে।
অভিযোগ উঠেছে, রবিবার ওই এলাকায় সিপিএমের দলীয় পতাকা তোলার পর থেকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বাদল শেখকে।এমনকি সোমবার তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে, তাঁকে বেধড়ক মারধোর করে দুস্কৃতীরা। মারধোর করে তাঁর বাড়িতেই তাঁকে ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তারপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান বাদল শেখ।
যদিও এই ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে উঠলেও, তা এড়িয়ে যায় শাসক গোষ্ঠী। এবিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘নানুরে সিপিএম বলে কিছুই নেই। আর এই বিষয়টা সিপিএম তৃণমূলের ঝামেলাও নয়। পাড়ার কিছু যুবকের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে তৃণমূলের এই বিষয়ে কোন হাত নেই’।
এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে নানুর থানার পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বাদল শেখের দেহ।