‘তৃণমূলের সবাই চোর নয়’, SFI-র মিছিলে এ কী বললেন বিমান বসু?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘তৃণমূলের সবাই চোর নয়’, গতকাল বামেদের সমাবেশ থেকে ঠিক এই মন্তব্যই করতে শোনা যায় সিপিএমের (Cpim) বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসুকে (Biman Basu)। তবে একদিকে যখন শাসকদলের সকলেই দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছে বলে প্রতিবাদ মিছিল করে চলেছে বামেরা, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে তাদের নেতার মুখেই এহেন বক্তব্য কেন, তা ঘিরেই শুরু হয় বিস্তর জল্পনা।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি থেকে গরু এবং কয়লা পাচার মামলায় বেকায়দায় তৃণমূল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডলরা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। এ সকল ইস্যুগুলিকে হাতিয়ার করে সিপিএম, বিজেপির মতো বিরোধী দলগুলি শাসক দলকে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে চলেছে।

বিগত কিছু সময় ধরে ‘চোর ধরো জেলে ভরো’ কর্মসূচি নিয়ে পথে নেমেছে সিপিএম। যদিও আবার অপরদিকে, বিরোধীদের সকল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল শিবির। এক্ষেত্রে সিবিআই এবং ইডিকে কাজে লাগানো আসলে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে তারা। আবার অপরদিকে সিপিএমের প্রতিবাদ মিছিলকে উদ্দেশ্য করে একাধিক সময়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা। তবে এর মাঝেই গতকাল এসএফআইয়ের মঞ্চ থেকে বিমান বসু বলেন, “তৃণমূলের সবাই চোর নয়।”

বলে রাখা ভালো, অতীতে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকেই  মন্তব্য প্রকাশ করেন যে, বর্তমানে দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূলের কয়েকজন জড়িত থাকলেও সবাই খারাপ নয়। ফলে আচমকাই শাসকের সুরে কেন সুর মেলালেন সিপিএমের এই বর্ষীয়ান নেতা, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন সামনে উঠে আসে। যদিও আবার একটি মহলের মতে, বিমান বসুর মন্তব্যের মাঝে আদতে লুকিয়ে রয়েছে ব্যঙ্গ!

গতকাল অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বিমান বসু বলেন, “তৃণমূলের সবাই চোর নয়, এই কথাটা সত্য। ওদের একটা জেলার সভাপতি, যার মাথায় অক্সিজেনের অভাব রয়েছে। তার আবার আত্ম সহায়ক পদেও এক ব্যক্তি রয়েছে। বর্তমানে বাংলার অবস্থা যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে কেউ আর তার মেয়ের নাম সুকন্যা রাখবে না। সুকন্যা নামক মেয়েকে যদি তার বাবা কুকন্যা বানায়, তাহলে সর্বনাশ। পরীক্ষা না দিয়েই আজকাল মানুষ শিক্ষক হয়ে যাচ্ছে।”

biman basu

পরবর্তীতে দুর্নীতি প্রসঙ্গে শাসক দলকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে বিমান বলেন, “আমার এখন অনেক বয়স হয়েছে। তাও এত টাকার পাহাড় আমি জীবনেও দেখিনি। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তর সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যারা কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়েছে, পাশ করেছে, তাদের কাউকে চাকরি দেওয়া হয়নি। এটাই বর্তমানে ওদের সংস্কৃতি হয়ে উঠেছে।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর