বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: শেষ কিছু সময়ে ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে আগের চেয়ে কয়েকশো গুন। বিশেষ করে করোনা কালে মানুষ এই পদ্ধতিতেই টাকার আদান প্রদান বেশি সুবিধাজনক মনে করছে। ইয়ং জেনারেশনে তো অভ্যস্ত ছিলই, তার সাথে সাথে বয়স্ক ব্যক্তিরাও ক্রমশ মোবাইল ব্যাঙ্কিং, ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড, ইউপিআই পেমেন্ট, অনলাইন ব্যাঙ্কিং ইত্যাদির দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু আগামী বছর থেকে থেকে পরিবর্তন আসতে চলেছে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম। এবার থেকে টাকা তোলা বা অনলাইনে লেনদেনের ক্ষেত্রে মানতে হবে বেশ কিছু প্রোটোকল।
এতদিন সাধারণত অনলাইনে শপিংয়ের ক্ষেত্রে কার্ডের ১৬ সংখ্যার নম্বর অথবা কার্ডের এক্সপায়ারী ডেট বা সিভিভি নম্বর দিয়ে পেমেন্ট করা যেত। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেই ঝামেলাটুকুও পোহাতে হত না। অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্টের মতো বড় সংস্থাগুলি এবং সুইগি বা জোম্যাটোর মতো খাদ্যপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি বার বার তাদের পরিষেবা গ্রহণ করলে ক্রেতাদের কার্ডের প্রয়োজনীয় তথ্য নিজেদের কাছে সংরক্ষিত রাখার ফলে খুব সহজেই গ্রাহকরা প্রয়োজনীয় পেমেন্ট করতে পারতেন। কিন্তু এবার সেই নিয়ম আর হয়তো থাকছে না।
আসন্ন বছরের একদম শুরু যে নিয়ম কার্যকরী হতে চলেছে সেই নিয়ম অনুযায়ী আর কোনও সংস্থাই তাদের গ্রাহকদের কার্ডের ইনফরমেশন নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন না। ইতিমধ্যেই এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের মতো সংস্থাগুলি তাদের গ্রাহকদের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করতে শুরু করেছে।
এই নতুন পদ্ধতি কার্যকর হতে চলেছে আগামী বছরের ১ লা জানুয়ারি থেকে। এই নতুন ‘টোকেনাইজেশন’ পদ্ধতিতেই এবার থেকে যাবতীয় অনলাইন লেনদেন সংগঠিত হবে। আগের পদ্ধতি অনেক সহজ হলেও তাতে গ্রাহকের মূল্যবান ইনফরমেশন কোম্পানি গুলির কাছে জমা থেকে যাচ্ছিল। টোকেনাইজেশনের প্রযুক্তি অবলম্বন করলে সেই ঝুঁকিটাই এড়ানো যেতে পারে।
কিন্তু ঠিক কিভাবে কাজ করবে এই পদ্ধতি?এই পদ্ধতিতে কার্ড নম্বর জমা রাখার বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে গ্রাহককে একটি টোকেন নম্বর দেওয়া হবে। এই নম্বরটিই এবার থেকে যাবতীয় লেনদেনের বিষয়ে সাহায্য করবে। এতে গ্রাহকের ব্যক্তিগত আর কোম্পানির কাছে জমা থাকবে না। এর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কোম্পানিগুলিকে গ্রাহকদের যাবতীয় তথ্য ১ লা জানুয়ারির আগেই মুছে ফেলতে হবে।