বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানে খেলার অবস্থা যে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছে তার মোটামুটি প্রমাণ মিলেছিল অলিম্পিকেই। ফের একবার অলিম্পিক থেকে পাক খেলোয়াড়দের ফিরতে হয়েছিল শূন্য হাতে। অবস্থা ভালো নয় পাক ক্রিকেটেরও। এমনকি খেলোয়াড়দের মধ্যেও বেতন নিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সময় যে পাক ক্রিকেট জিতে নিয়েছিল বিশ্বসেরার খেতাব, সেখানেই আজ প্রশ্ন উঠছে খেলোয়াড়দের বেতন নিয়ে।
পাক অধিনায়ক তথা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান বাবর আজম জানিয়েছেন, তিনি তার স্যালারি নিয়ে মোটেও খুশি নন। বেতন বাড়ানোর আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। কত টাকা স্যালারি পান পাক ক্রিকেটাররা তা জানলে আপনারও এই দাবিকে অহেতুক মনে হবে না। একদিকে যখন বিসিসিআই ভারতীয় খেলোয়াড়দের মোটা অঙ্কের বেতন প্রদান করে, তখন প্রাক ক্রিকেটারদের বেতন ভারতীয় সি গ্রেড খেলোয়াড়দের থেকেও কম।
ভারতীয় ক্রিকেটে সাধারণত বেতন কাঠামোয় চারটি গ্রেড রয়েছে। ভারতের গ্রেড এ+ খেলোয়াড়রা বছরে ৭ কোটি টাকা পান। গ্রেড এ খেলোয়াড়রা পান ৫ কোটি, গ্রেড বি প্লেয়ার ৩ কোটি এবং গ্রেড সি খেলোয়াড়রা বার্ষিক বেতন পান ১ কোটি টাকা। এছাড়া প্রতিটি টেস্ট ম্যাচের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা, একদিনের ম্যাচে ছয় লক্ষ এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য তিন লক্ষ টাকা ম্যাচ ফি দেওয়া হয় ভারতীয় খেলোয়াড়দের। এসবের পরেও রয়েছে বোনাস, কোন ক্রিকেটার সেঞ্চুরি করলে বা পাঁচ উইকেট নিলে দেওয়া হয় পাঁচ লক্ষ টাকা। দ্বি-শতরানের জন্য দেওয়া হয় সাত লক্ষ টাকা।
সেই হিসেবে দেখতে গেলে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের বেতন সত্যিই অনেকটা কম। এক্ষেত্রে বেতন কাঠামোয় রয়েছে তিনটি ভাগ।যেখানে প্রথম শ্রেণীর খেলোয়াড়রা বার্ষিক মাত্র ৪৬ লক্ষ টাকা পান। অন্যদিকে, গ্রেড বি খেলোয়াড়রা উপার্জন করেন ২৮ লক্ষ এবং গ্রেড সি খেলোয়াড়ের আয় মাত্র ১৯ লক্ষ। দেখতে গেলে বাবরের আয় ভারতের একজন সি গ্রেড খেলোয়াড়ের অর্ধেক। পাক ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফিও যথেষ্ট কম, এক্ষেত্রে ক্রিকেটাররা টেস্টের জন্য ৬.৬০ লক্ষ, ওয়ানডের জন্য ২.২০ লক্ষ এবং টি-টোয়েন্টির জন্য ১.৬০ লক্ষ টাকা পান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুধু বাবরই নন, বেতন নিয়ে অখুশি মোহাম্মদ রিজওয়ান, হাসান আলী এবং শাহীন আফ্রিদিও।