বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অপরাধীরা যাতে নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে না দাঁড়াতে পারে তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালো নির্বাচন কমিশন। ভারতে লোকসভা কিংবা বিধানসভা কিংবা অন্যান্য ভোটে লড়বার জন্য দাগী আসামীও প্রার্থী হতে পারত। এতদিন পর্যন্ত কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। এবার ভারতে সেই নিয়মের বিশেষ বদল আনতে চায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
সুপ্রিম কোর্টে আজ জাতীয় ভোটার দিবসের দিনে আবেদন জানালো জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন একাধিক অপরাধে দোষী ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে অংশ নিচ্ছে। লোকসভা ভোটের এমন প্রচুর দৃষ্টান্ত রয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। তাই জাতীয় নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে তত্পর হল।
আইনের ফাঁকের সুযোগ পেয়ে দিনের পর দিন রাজনৈতিক দলগুলোর ছাতার তলায় থেকে ভোটে দাঁড়ায় অভিযুক্তরা। সমাজ যাঁকে দুষ্কৃতী, অভিযুক্তের কালিমা দিয়ে দিচ্ছে, তাদেরকে ভোট দিতে হচ্ছে আমাদের, যা মোটেই কাম্য হতে পারে না।
একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ভোটে জিতে কোনও সাংবিধানিক পদ পাওয়ার পরও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। এমন নজিরও রয়েছে। সমাজের বিভিন্ন মহল আপত্তি তুললেও তা কার্যকরী হয় না।
এবার এই বিতর্ককে থামাতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল। সব দিক মাথায় রেখেই তত্পরতা শুরু করল কমিশন। কোনও দাগী আসামী তথা যেকোনও অপরাধে অভিযুক্ত আর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না, এমনটাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের।