বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে বেঞ্চে রেখেছিলেন পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। কিন্তু তিনি যখন ৭৩ মিনিট নাগাদ মাঠে নামেন পরিবর্তন ফুটবলার হিসেবে তখন সমর্থকরা মাঠেই যে জয়ধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান তেমন জয়ধ্বনি পর্তুগালের ৬টি গোলের সময়েও শোনা যায়নি। মাঠে নামার পর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো একটি গোল করেছিলেন যেটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। কিন্তু ঐদিন তার পরিবর্তে হিসেবে মাঠে নামা বেনফিকার ফরওয়ার্ড পর্তুগিজ তরুন গঞ্জালো র্যামোস হ্যাটট্রিক করে পর্তুগালকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করেন।
তারপর থেকেই সংবাদ মাধ্যমের একটা অংশ এই প্রচারে করে যাচ্ছিল যে রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশের অংশ না করায় রোনাল্ডো ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং পর্তুগালের কোচের সঙ্গে ঝগড়া করেছেন। রোনাল্ডো বিশ্ববন্দিত ফুটবলার হলেও গোটা বিশ্বে তার নিন্দুকের অভাব নেই। সম্ভবত ক্রীড়া জগতে তিনি একমাত্র এমন তারকা যিনি এত বিশাল সংখ্যক নিন্দুক থাকা সত্ত্বেও বর্তমান বিশ্বে এত বড় মাপের একজন তারকা ক্রীড়াবিদ হতে পেরেছেন। তাই এই রটানো ঘটনাটি বিশ্বাস করে সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হতো দেরি হয়নি।
কিন্তু আজ পর্তুগাল দলের তরফ থেকে একটি অফিসিয়াল বিবৃতি জারি করে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে রোনাল্ডোর সঙ্গে কোচের কোন সমস্যা হয়নি এবং তার জন্য রোনাল্ডো কোনো রকম হুমকিও দেয়নি জাতীয় দলকে। গোটা দলের এখন একটাই লক্ষ্য এবং সেটা হল বিশ্বকাপে নিজেদের সেরাটা দিয়ে ট্রফি জয় করা।
এরপর এই বিষয় নিয়ে স্বয়ং মুখ খুলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সুইজারল্যান্ড এর বিরুদ্ধে তাকে মাঠে নানা নামানোর জন্য তার বান্ধবী এবং তার বোন কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন পর্তুগিজ কোচের ওপর। কিন্তু রোনাল্ডোর বক্তব্যে তেমন কোন ইঙ্গিত ছিল না। পর্তুগিজ মহাতারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেছেন, “পর্তুগাল দল এতটাই সংঘবদ্ধ যে বহিঃস্থ কোনও শক্তি তার মধ্যে ভাঙ্গন ধরাতে পারবে না। স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য দলটা শেষ পর্যন্ত লড়বে।”
View this post on Instagram
তবে রোনাল্ডো বিতর্কের অবসান ঘটলেও তার ফর্ম নিয়ে চিন্তা কাটছে না পরতো কিছু ভক্তদের। মাত্র পাঁচ-ছয় মাস আগেও যিনি ছিলেন দলের এক নম্বর তারকা, তিনি সাম্প্রতিক সময়ে নিজের ধর্মের ধারে-কাছেও নেই। এমন অবস্থায় মরক্কোর মতো ডিফেন্সিভ দলের বিরুদ্ধে তাকে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম একাদশে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ হচ্ছে। মরক্কো চেষ্টা করবে মরিয়া ডিফেন্ডিং করে পর্তুগিজ ফুটবলারদের হাঁপিয়ে দিয়ে খেলাটিকে অতিরিক্ত সময় নিয়ে যাওয়ার। সেক্ষেত্রে ৩৭ বছর বয়সী রোনাল্ডোকে আবারও পরিবর্তন ফুটবলার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন পর্তুগিজ কোচ টাইব্রেকারের কথা মাথায় রেখে।