বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক প্রধানমন্ত্রী বদল হয়ে গেলেও পরিবর্তিত হয় না পাকিস্তানের করুণ দশা। যখন যে ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসেন, তাঁর কপালেই ঝুলতে থাকে বিপদের খাঁড়া। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এহেন দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে সকল পাকিস্তানবাসী। এবারেও হলো ঠিক তাই! সম্প্রতি ইমরান খানের ইস্তফা দেওয়ার পরেই পাক প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন শাহবাজ শরীফ আর তার কিছুদিন কাটতে না কাটতেই এবার প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতারি চেয়ে আদালতের নিকট উপস্থিত হল তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ। শুধু তাই নয়, শাহবাজের পুত্র এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজকেও গ্রেফতার করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রায় কয়েকশো কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর পুত্র সুলেমান শাহবাজের বিরুদ্ধে। আর সেই কারণেই তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চাইছে এফআইএ। সম্প্রতি, পাক আদালতে শাহবাজের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী।
সূত্রের খবর, এই পত্রে লেখা রয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং তাঁর পুত্রের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সেই জন্য তাদের গ্রেফতার করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কারণ তাঁরা কেউই তদন্তে নিজেদের পূর্ণ সহযোগিতা করছে না।” এর পরেই গতকাল পাকিস্তান আদালতে উপস্থিত হন শাহবাজ শরীফ এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। আদালতে উপস্থিত হয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী জানান, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমি দশ বছর ধরে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, কিন্তু সেখান থেকে একটি টাকা পর্যন্ত নিইনি। আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।”
গতকালের এই শুনানির পর আগামী 11 ই জুন পর্যন্ত মামলা স্থগিত রেখেছে কোর্ট। উল্লেখ্য, শাহবাজ এবং তাঁর পুত্রের বিরুদ্ধে 2020 সালে আর্থিক প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়, যার শুনানি বর্তমানে শুরু হয়েছে বলে খবর। তবে এসকল কাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রীর কৌঁসুলি আমজাদ পারভেজ। তিনি বলেন, “এফআইএ কথার মানে হচ্ছে অ্যাসেরশন অফ এজেন্সি অর্থাৎ পুরোটাই ভুয়ো। লাহোরে জেলে থাকার সময় প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এফআইএ। এমনকি এরপরেও একাধিকবার গোয়েন্দা অফিসে যান পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে আনা হচ্ছে, তা একপ্রকার ষড়যন্ত্র।”