বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৩ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছিল বিরোধী কংগ্রেস, বিজেপি শিবির। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে স্পর্শ্বকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করতে হবে। তবে এতে কোনও ভাবেই খুশি নন ডিএ আন্দোলনকারী (DA Agitators) সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাদের দাবি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হোক।
ভোট অনুষ্ঠানের নামে জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। ভোট কর্মীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে। এই দাবি জানিয়েই আগামী ২৫ জুন মহামাছিলের ডাক দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই বিষয়ে যৌথ মঞ্চের প্রধান ভাস্কর ঘোষ জানান, রাজ্যের প্রতিটি ভোটকর্মী আলাদা করে নির্বাচন কমিশনারকে মেইল করে জানিয়ে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ছাড়া আমরা কোনও ভাবেই ভোট করতে যাব না।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দাবিতে আমরা অনড়। যেখানে যেখানে ভাটকর্মীদের ট্রেনিং আছে সেখানে গণ ডেপুটেশন হবে। চলবে বিক্ষোভ প্রদর্শন। যদি নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি না দেওয়া হয় তাহলে কোনও ভোটকর্মী ট্রেনিং করবেন না। এক দু জায়গায় নয়, গোটা রাজ্যেই এই জিনিস হবে।” প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশনার-সব কমিশনের অফিস ঘেরাও করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ক্রমশ্য উত্তাপ ছড়াচ্ছে বঙ্গে। দিন দুয়েক আগেই শেষ হয়েছে মনোনয়ন জমার পক্রিয়া। আর সেই পর্বেই ভোটের বলি একাধিক। ভাঙড়ে শাসকদলের সঙ্গে আইএসএফ এর সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক আইএসএফ কর্মীর। ভাঙড়ে মনোনয়ন-সন্ত্রাসে নিহত হয়েছেন তৃণমূল কর্মী রাজু নস্কর।
অন্যদিকে, গতকাল বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে। সূত্রের খবর, নিহত ব্যক্তির বৌদি বিশাখা দাস পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। তিনি দিনহাটার কিসামত দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী। বিশাখাদেবীর অভিযোগ, শনিবার রাতে কয়েক জন এসে তার দেওরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়।
শনিবার মধ্যরাতে বাড়ির অদূরেই একটি পাটক্ষেত থেকে শম্ভু দাস (২৮) নামের ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গোটা এই ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। ভোটের দিন আসতে এখনও কিছু সময় বাকি। তার আগেই বাংলার পরিস্থিতি যেই রূপ নিয়েছে তাতে ভোটের কথা ভেবেই শিউরে উঠছে অনেকে।