বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিনের পর দিন মাসের পর মাস অপেক্ষা। ১১৯ দিন পর অবশেষে ১৫ জুলাই ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি হওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এর আগ ১২বার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। এবারও কি সেই একই ঘটনা ঘটতে চলছে? সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
ভাগ্য ঝুলছে ডিএ (Dearness Allowance) মামলার
আগামী ১৫ জুলাই বকেয়া ডিএ মামলার (DA Arrear Case) শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই তারিখেই মামলাটি তালিকাভুক্ত করা আছে। এর আগে ডিএ মামলা উঠেছিল বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে। তবে এবার শুনানি হওয়ার কথা বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে। কজলিস্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে ৬০ নম্বরে নথিভুক্ত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মামলা।
আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ নম্বর আদালতকক্ষে এই মামলা উঠবে। তবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চের সর্বশেষ মামলা এই ডিএ (Dearness Allowance) মামলা। সেদিন মোট ৬০টি মামলাই নথিভুক্ত করা হয়েছে। আর ৬০ নম্বরেই বাংলার সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা।
এর আগে যতবারই শুনানির দিন এসেছে ততবারই হতাশ হতে হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। প্রতিবারই কোনো না কোনও কারণে পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি। অতীতে বহুবার সময়ের অভাবে ডিএ মামলার শুনানি হয়নি বা হলেও সামান্য সময়ের জন্যই হয়েছে। এবারও একেবারে শেষে ডিএ মামলা থাকায় হতাশা দেখা দিয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে।
সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে, সেটা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার জন্য। সেই ২০১৬ সাল থেকে সেই মামলা চলছে। ওদিকে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ হারে ডিএ (Dearness Allowance) পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কোর্টের নির্দেশে কলকাতায় বসে যাবে ২৫০০ বাস! ভোগান্তির আশঙ্কার মাঝেই মুখ খুললেন পরিবহন মন্ত্রী
২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দাখিল করেছিল বাংলার সরকার। ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর সর্বোচ্চ আদালতে প্রথমবারের মতো ডিএ মামলাটি উঠেছিল। যদিও তারপর থেকে আর সুরাহা হয়নি। ঝুলে রয়েছে ডিএ মামলা।