বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ন্যায্য ডিএ-র (DA) দাবিতে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একটা অংশ। বনধের সমর্থনে এদিন শহরে দুটি বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে, প্রথমটি যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ও অন্যটি ডাক দিয়েছে কলকাতা পুরনিগমের বাম ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রিত জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রেডার্স ইউনিয়ন। এই নিয়েই যখন ধুন্ধুমার রাজ্যে, ঠিক তখন পরিস্থিতি আরও বেশ কিছুটা উত্তপ্ত করল তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) মন্তব্য।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিএ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন কুণাল। বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার যে বাংলার প্রাপ্য বিপুল টাকা দিচ্ছেন না যারা ডিএ চাইছেন তারা কিন্তু এ বিষয়ে কোনও কথা বলছেন না। আন্দোলনটা যদিও দুটো মিলিয়ে হতো তাহলে একটা ভারসাম্য থাকত। এটা তো একটা রাজনীতি হচ্ছে। ” পাশাপাশি তার কথায়, ‘ডিএ অধিকার নয়, এটা অনুদান।’ কুণালের এহেন মন্তব্যের পর শোরগোল সর্বত্র।
আর কী বললেন তৃণমূল মুখপাত্র? “যারা যারা ডিএ চাইছেন তারাও ঠিকই জানেন সীমিত পরিমান ফান্ডে সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সরকার চালাতে হচ্ছে। তারও দেওয়ার ইচ্ছা আছে। যিনি বলছেন ডিএ চাই তিনি খুব ভাল করে জানেন কন্যাশ্রী থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার, রূপশ্রী থেকে স্বাস্থ্যসাথী পর্যন্ত, বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষাকবচে তার পরিবারও রয়েছে। যেটাও কিন্তু মমতা সরকারই চালাচ্ছে।”
এদিন যুক্তি দেখিয়ে কুণাল বলেন দাবি যারা ডিএ চাইছেন তাদের পরিবারও রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন। তাই এসব কথা মাথায় রেখে আন্দোলন করা উচিত। পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের কথা টেনেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রসঙ্গত, সবরকম ভাবে এই ডিএ আন্দোলন ও আন্দোলনকারীদের পাশে আছেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘বিরোধীরা শকুনের রাজনীতি করছে।’
এখানেই থেমে থাকেননি কুণাল। এরপর আইন তুলে তার যুক্তি, “আমি একাধিক বর্ষীয়ান আইনজীবীদের যা ব্যাখ্যা শুনলাম তাতে পরিষ্কার ডিএ কোনো অধিকার নয়, এটা অনুদান। ফলে এই আইনি বিষয়টা মাথায় রেখে যদি আন্দোলন হয় তাহলে বিষয়টা ভাল হবে।” প্রসঙ্গত, একদিকে সরকারি কর্মীদের ডাকা বনধ নিয়ে ক্রমশই চড়ছে উত্তাপ। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। এই আবহেই কুণাল ঘোষের মন্তব্য এখন নতুন করে কোন বিতর্কের সৃষ্টি করে সেটাই এবার দেখার বিষয়।