ঠেলার নাম বাবাজি! দাড়িভিট কাণ্ডে হাজিরা রাজ্যের মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিবদের, কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঠেলার নাম বাবাজি! দাড়িভিট কাণ্ডে (Darivit murder case) অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে ভার্চুয়াল হাজিরা দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, এডিজি সিআইডি। সোমবারের মধ্যে এই তারা সশরীরে আদালতে হাজিরা না দিলে এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। শুক্রবার এমনই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। তবে এবার কিছুটা নরম হল হাইকোর্ট।

‘আপনাদের উচিত AG সঙ্গে কথা বলা। উনি আইন জানেন। আপনাদের উপর চাপ থাকে আমরা জানি। তবে চেয়ারের সম্মানও রাখতে হবে। কোর্ট যখন রুল ইস্যু করেছে, সেক্ষেত্রে হাজির হয়ে বক্তব্য জানানো বাধ্যতামূলক।’ এদিন শুনানিতে কড়া মন্তব্য বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

এদিকে রাজ্য তরফে জানানো হয়, দাড়িভিট মামলায় ইতিমধ্যেই NIA কে অনেক তথ্য হস্তান্তর করা হয়েছে। তাই আমলাদের সতর্ক করে এ যাত্রায় রেহাই দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগেই এই মামলায় আদালত অবমাননার অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডি-র বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। তবে এবার আদালত অবমাননার মামলায় আর এগোবে না বিচারপতির একক বেঞ্চ।

এর আগের সুনানিতে বিচারপতির কড়া নির্দেশ ছিল, সোমবারের মধ্যে এই সকল আমলারা সশরীরে আদালতে হাজিরা না দিলে এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। এক সোমবার সশরীরে না হলেও ভার্চুয়াল হাজিরা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, এডিজি সিআইডি।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উর্দুর বদলে বাংলা ভাষার শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট। উর্দু নয়, চাষী বাংলা শিক্ষক, এই দাবি জানিয়ে বিক্ষোভে নামে ছাত্ররা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্কুল ক্যাম্পাস। সেখানেই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ২ ছাত্রের। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি।

স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, পুলিশ গুলি চালিয়েছে।পুলিশের দিকে অভিযোগের তীর এলেও প্রথম থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা। এরপর আদালতে মামালা হলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। ওদিকে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মৃত ছাত্রের পরিবার।

২০২৩ সালে এই মামলার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেয় হাই কোর্ট। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যর নির্দেশও দেয় আদালত। তবে ১১ মাসেরও বেশি সময় কেটে গেলেও আদালতের কোনোও নির্দেশই মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে।

high court

আরও পড়ুন: শাহজাহানের বাড়ি কিনতে আগ্রহী শুভেন্দু! কী করবেন সেখানে? সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়েই বড় ঘোষণা

আদালত অবমাননার সেই ঘটনাতেই রুল জারি করেছিলেন জাস্টিস মান্থা। পরবর্তীতে এই নিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। তবে একক বেঞ্চের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি ডিভিশন বেঞ্চ। ফলত ঘুরে বিচারপতি মান্থার এজলাসেই ফের উঠেছে মামলা। গত শুক্রবার এই মামলার শুনানিতেই বিরাট কড়া নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তবে আজ রাজ্য তরফে জানানো হল ইতিমধ্যেই NIA কে অনেক তথ্য দেওয়া হয়েছে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর