Ekchokho.com 🇮🇳

পর্যটকদের জন্য পুজোর উপহার দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের! এই নতুন ৩ টি রুটে চলবে টয়ট্রেন

Updated on:

Updated on:

Darjeeling Himalayan Railway Puja gift for tourists.

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সুখবর। পুজোর আগে একাধিক নতুন পরিষেবা চালু করতে চলেছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (Darjeeling Himalayan Railway)। সূত্রের খবর, সুকনা থেকে রংটন, কার্শিয়াং থেকে মহানদী ও কার্শিয়াং থেকে টুং পর্যন্ত এই তিনটি রুটে চালু হবে টয়ট্রেন (Toy Train)।

দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের (Darjeeling Himalayan Railway) পুজোর উপহার:

অনেকের কাছে কম খরচে ঘোরাঘুরি মানেই দার্জিলিং। আর দার্জিলিং-এ গিয়ে কেউই চাননা টয়ট্রেন না চড়ে ফিরতে। তবে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং-র পথ অনেকটাই। যার কারণবশত অনেকের চড়া হয়ে ওঠে না টয় ট্রেনে। এবার সেই সমস্যার সমাধান করল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (Darjeeling Himalayan Railway)।

শুক্রবার ছিল টয়ট্রেনের ১৪৪ তম জন্মদিনে। এই দিন নতুন পরিষেবার কথা জানান দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে।১৮৮১ সালে ৪ জুলাই পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথের মাঝ দিয়ে যাত্রা শুরু করে টয়ট্রেন। তখন অবশ্য শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল এই ঐতিহাসিক টয়ট্রেন।

সূত্রের খবর, সেই ঐতিহ্যকে স্মরণে রাখতে এই প্রথমবার সুকনায় টয়ট্রেন দিবস উদযাপিত হয়। নর্থবেঙ্গল পেন্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের যৌথ উদ্যোগে শিলিগুড়ির সুকনা স্টেশনে দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করে এই দিনটি। সেখানেই বলা হয়, টয়ট্রেনকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তাই আমরা এই পদক্ষেপ নিচ্ছি।

Darjeeling Himalayan Railway Puja gift for tourists

আরও পড়ুন: নিয়ম লাগু হতে না হতেই শুরু জালিয়াতি! রেলের টিকিটে ফের “কালোবাজারি”, কীভাবে হচ্ছে?

এছাড়াও,  টয়ট্রেনের ১৪৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ আকর্ষণ ছিল এক ঐতিহ্যবাহী টয়ট্রেন। যেখানে দর্শনার্থীরা ফটো সেশন ও সংক্ষিপ্ত সফরের মাধ্যমে উপভোগ করেন ট্রেন যাত্রার আনন্দ। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর চন্দনকুমার রায়, স্টেশন ম্যানেজার ও নর্থবেঙ্গল পেন্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। অনুষ্ঠানে পরিপ্রেক্ষিতে উদ্যোক্তাদের পক্ষে জানানো হয়েছে, প্রতি বছরই এই দিনটি আরও বড় পরিসরে উদযাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। উপস্থিত অতিথির এই নয়া উদ্যোগকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি এই উদ্যোগ নতুন টয় ট্রেনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন তারা।