প্রবল বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, বন্ধ করা হল দার্জিলিং-কালিম্পং সড়ক! পর্যটকেরা কী করবেন এখন?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দক্ষিণবঙ্গ চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছে বৃষ্টির। গুমোট আবহাওয়া দমবন্ধ পরিবেশ কলকাতা সহ বিস্তীর্ণ দক্ষিণবঙ্গের। তবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা না মিললেও, প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অবস্থা দার্জিলিংয়ের। ক্রমশ জল বাড়ছে তিস্তা নদীতে (Teesta River)। যার জেরে আরো জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। এই অবস্থায় একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।

এই আবহে যে পর্যটকেরা কালিম্পং (Kalimpong) গিয়েছেন তারাও পড়তে পারেন সমস্যায়। পর্যটকদের সাবধান করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। ঝুঁকি নিয়ে প্রবল বৃষ্টিতে রাস্তায় না বেরানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। বৃষ্টির ফলে প্রায় বন্ধ দার্জিলিং-কালিম্পং সড়ক (Darjeeling kalimpong Route)। তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে জল বইছে পেশকের রাস্তার উপরে।

আরোও পড়ুন : চরম সর্বনাশ! গ্রাহকরা আর টাকা তুলতে পারবেন না এই ব্যাঙ্ক থেকে, লাইসেন্স বাতিল করল RBI

সেই কারণে ওই এলাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে গাড়ি চলাচল। সাবধান করা হয়েছে তিস্তাবাজার ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদেরও। গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন, দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর। তবে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়নি ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সাবধানে ওই রাস্তায় গাড়ি চালানোর সর্তকতা দেওয়া হয়েছে।

আরোও পড়ুন : বিস্ফোরক স্ক্রিন শট ‘ফাঁস’, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরার আর্জি কুণালের

তবে অনেক জায়গায় রাস্তার উপর উঠে এসেছে জল। যার জেরে ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ। তাই সর্বদা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির ফলে একাধিক জায়গায় ধ্বস নামতে শুরু করেছে। বালুখোলা ও লিকুভিরে ধস নেমেছিল এর আগে। তাই বন্ধ রাখা হয়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক।

1697078894 sikkim

এবার জল বইতে শুরু করেছে কালিম্পং-দার্জিলিং সড়কের উপরে। ক্রমশ নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে সিকিম, ভুটান ও উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জেরে। আপাতত বৃষ্টি থামার ইঙ্গিত দেয়নি হাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি চলবে অসম, মেঘালয়, সিকিম ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। অতিবৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারেও।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর