বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ প্রায় শেষ হতে চলল। তবে এখনও সুরাহা হল না। সুপ্রিম কোর্টে এখনও ঝুলে রয়েছে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা (Dearness Allowance)। এর আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার এই মামলার সঙ্গে অন্যন্য ভাতার বিষয়টিও যুক্ত হয়েছিল। মামলাটি ‘এক্সটেন্সিভ হিয়ারিং’ পর্যায়ে ছিল। গত ১৫ জুলাই ডিএ মামলার (DA Case) শুনানির পর আদালতের নির্দেশনামায় বলা হয়েছিল, এই মামলার আবেদনের বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন।
বাংলার ডিএ মামলার জন্য জানুয়ারির মাসের ৭ তারিখের দিনটি ধার্য করেছিলেন জাস্টিস ঋষিকেশ রায় এবং জাস্টিস এস ভাট্টি। এরপর একেবারে ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের উঠতে চলেছে পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা। তাই আপাতত সকলে রাজ্য সরকারি কর্মীকে তাকিয়ে থাকতে হবে আগামী বছরের দিকে।
এরই মাঝে শনিবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে একটি নয়া সার্কুলার প্রকাশ করা হয়েছে। সেটা কি বাংলার সরকারি কর্মচারীদের উপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারে? এই বিষয়ই বিস্তারে ব্যাখ্যা করলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতা কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার কোনও রেগুলার ম্যাটার থাকবে না। শুধুমাত্র আফটার নোটিশ ম্যাটার থাকবে। মিসলেনিয়ার কেস বা রেগুলার কেস যদি স্পেশাল বেঞ্চে থাকে বা পার্ট হার্ড হয়, তাহলে দ্বিতীয় ভাগে শুনানি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে যে ডিএ মামলা চলছে, তা আফটার নোটিশ ম্যাটার। পরের শুনানি মঙ্গলবার হওয়ায় পার্ট হার্ড ম্যাটার এবং স্পেশাল বেঞ্চ দ্বিতীয়ার্ধেই হবে। রেগুলার ম্যাটার নেই (সুপ্রিম কোর্টে) তাই ডিএ মামলার শুনানি ট্রান্সফার পিটিশন এবং বেল ম্যাটারের পরেই হবে অথবা টপ অফ দ্য লিস্টে থাকছে।’
আরও পড়ুন: ১৮ হাজার থেকে সোজা ৩৫ হাজার! বাড়ছে সরকারি কর্মীদের নূন্যতম বেতন? বড় খবর
২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। বর্তমানে ২০২৪ সাল। হাইকোর্টে ডিএ মামলাকারীরা জয় পেয়েছিল। গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয়। তারপর থেকে আরও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এবারে ফের শুনানির আশায় দিন গুনছেন সরকারি কর্মীরা।