বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সব আশায় জল। সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলা (Dearness Allowance)। যে মামলার রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত এই মামলাটি মঙ্গলবার দুপুর ৩ টে ৩০ মিনিট নাগাদ শীর্ষ আদালতের চতুর্থ আদালতকক্ষে (বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ) ওঠে। কিন্তু এবারেও সময়ের অভাবে মামলার শুনানি সম্ভব হয়নি।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ডিএ মামলায় বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন আছে। এদিন পর্যাপ্ত সময় না থাকায় তা হচ্ছে না। আগামী মার্চে ফের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে কবে পরবর্তী শুনানি হবে, সেই তারিখ বলা হয়নি। এই নিয়ে ১৪ বার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। যা নিয়ে কার্যত হতাশায় ভেঙে পড়েছেন সরকারি কর্মীরা।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে ডিএ মামলা। সুপ্রিম কোর্টে এখন পশ্চিমবঙ্গের যে ডিএ মামলা চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া থাকা মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত। বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। ২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া।
হাইকোর্টের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।
সেই ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। বর্তমানে ২০২৪ সাল। হাইকোর্টে ডিএ মামলাকারীরা জয় পেয়েছিল।
গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয়। তারপর থেকে আরও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এবারেও একই ঘটনা।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত! এবার সেই মানিকের মেডিক্যাল বিল নিয়ে বিতর্ক! জোর শোরগোল
রাজ্য সরকারের আগেই জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনে ডিএ দিতে গেলে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ৪২,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে। যা রাজ্যকে আর্থিকভাবে ধাক্কা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ওদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দাবি, মহার্ঘ ভাতা তাদের আইনসংগত অধিকার। রাজ্যকে ডিএ মিটিয়ে দিতেই হবে। তবে সরকারি কর্মীদের দাবি মানতে নারাজ রাজ্য।