বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছিল ডিএ আন্দোলন। তারপর ফেব্রুয়ারি আর মার্চ মাসে তা তীব্র আকার ধারণ করে। কয়েক মাস আগে রাজধানীতে গিয়েও আন্দোলনে বসেছিলেন সরকারী কর্মচারীরা। পুজোর আগে সেই আন্দোলনকে আরোও তীব্র করে তোলার জন্যেই ১০ এবং ১১ অক্টোবর কর্মবিরতির ডাক দেন সরকারী কর্মচারীরা।
তবে, এই কর্মসূচির পর থেকেই সেটি সফল নাকি ব্যর্থ হল সেই নিয়েই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের দাবি, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা কর্মবিরতি ব্যর্থ। উল্লিখিত দুদিন প্রায় সব সরকারি কর্মীই নাকি কাজে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে, কর্মসূচিকে সফল বলেই মনে করছেন যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।
আরোও পড়ুন : মেঘলা নাকি ঝকঝকে! কেমন থাকবে মহালয়ায় বঙ্গের আকাশ? দেখুন, আজকের আবহাওয়ার হালচাল
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, কর্মবিরতি আর ধর্মঘটে ফারাক রয়েছে। যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে যে, ‘‘কর্মবিরতির অর্থ অফিসে গরহাজিরা নয়। অফিসে হাজির হয়ে কাজে শামিল না হওয়া। এমনই বার্তা সরকারি কর্মচারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। তাই সে দিক থেকে দেখলে, তাঁরা কর্মসূচি পালন করেছেন।’’
এদিকে তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মীদের সংগঠনের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী কখনও বলেননি যে রাজ্যের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবেন না। তারা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কর্মচারীদের প্রতি ‘দরদি’ । তাদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী কখনও কর্মচারীদের বিরোধী কোনও পদক্ষেপ করেননি। এই আবহে সঠিক সময়ে অর্থ এলেই নাকি ডিএ নিয়ে তিনি ব্যবস্থা করবেন।