‘CPIM ইঞ্জিনিয়ারের কোমড থেকে ২০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল!” পোস্ট করে ট্রোল্ড খোদ দেবাংশু

   

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল থেকেই তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) ইডির (ED) গ্রেফতারি নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। বিভিন্ন মহল থেকেই এই প্রসঙ্গে একাধিক মন্তব্য করা হয়ে চলেছে আর এবার পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)।

সিপিএমের আমলে এক ইঞ্জিনিয়ারের কমোড থেকে ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন তিনি। যদিও এরপরই তাঁর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সমালোচনায় নামে কিছু শ্রেণির মানুষ। ঠিক কি বলেছেন দেবাংশু?

উল্লেখ্য, সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালায় ইডি এবং পরবর্তীতে পার্থ ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি টাকা, বিদেশি মুদ্রা, একাধিক সোনা গয়না এবং ২০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পরবর্তীতে এই মামলায় অর্পিতা এবং তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়, যা ঘিরে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলায়। আর এই ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস মুখাপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য সিপিএম আমলের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে আনেন।

তিনি বলেন, “সিপিএম পরিচালিত তৎকালীন বালি পৌরসভার সামান্য ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাটে তার বাথরুমের কমোড, এমনকি মল পাস হওয়ার পাইপ ফাটিয়েও কুড়ি কোটি টাকা উদ্ধার হয় বছর খানেক আগে। সামান্য ইঞ্জিনিয়ারের।”

তবে শুধুমাত্র সিপিএমকে আক্রমণ করাই নয়, পরবর্তীতে এ সকল দুর্নীতিতে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন দেবাংশু। সিপিএম আমলের ইঞ্জিনিয়ার এবং অর্পিতাদের বিরুদ্ধে তিনি লেখেন, “এই অর্পিতা কিংবা ওই ইঞ্জিনিয়ারের মত লোকেরা কি টাকা ভাত দিয়ে খায়? এত চাহিদা কিসের ভাই? কিসে লাগে এত টাকা? সাধারণ ভাবে বাঁচতে কত দরকার?? ভগবান জানে!”

Screenshot 2022 07 24 at 11.40.59 AM

তবে এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তৃণমূল নেতার বক্তব্যের সমালোচনায় নামে কিছু শ্রেণীর মানুষ। চাকরিপ্রার্থীদের সমর্থন জানিয়ে এক ব্যক্তি লেখেন, “দাদা আজকে একটা সত্যি কথা বলে গেলাম, এগুলো সব ওই চাকরি প্রার্থীদের অভিশাপ, ওদের চোখের জলের দাম তো দিতেই হবে। চোখের জলের অভিশাপ থেকে কেউ কোনদিন বাঁচতে পারেনি। সেটা সাধারণ মানুষ হোক কিংবা হাইফাই কেউ।”

অপর এক ব্যক্তির কথায়, “দেবাংশু যখন রাজনীতিতে আসেনি, ফেসবুকেতেই নড়াচড়া করত, সেই সময়ই নিরপেক্ষতা দেখেছিলাম। তারপর থেকে এত চটি চেটে চেটে নেশা লেগে গেছে ভালো আর মন্দ বুঝতে পারে না, মানুষ সিপিএমকে ত্যাগ  করেছে যেই সব কারণে তার থেকে বেশি কারণ এখন তৃণমূল করে চলেছে। সেইগুলোকে অন্যায় না বলে নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য বারেবারে সিপিএমকে তুলে আনছে, যারা প্রকৃত নিরপেক্ষ মানুষ তারা সব বুঝতে পারছে তবুও দিদি এবং ওই দেবাংশুর মত চটিচাটা গুলো অন্যায়কে অন্যায় বলতে কষ্ট হচ্ছে। এরপরে যে শ্রীলঙ্কা তৈরি হয়ে যাবে পশ্চিমবাংলা, সেটা বুঝতে পারছে না। দিদিকে আমিও সমর্থন করতাম যখন দেখলাম যে যারা আমার এলাকায় পুরনো পার্টিতে অন্যায় অত্যাচার করতো মানুষের হক মেরে খেতো তারা এখন দিদির সামনে শারিতে এবং আগের থেকে অনেক বেশি অন্যায় জুলুম করে চলেছে।” শেষমেশ দেবাংশু এই পোস্টের কমেন্টই বন্ধ করে দিয়েছেন।

Avatar
Sayan Das

সম্পর্কিত খবর