বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুলিশের নামে বিতর্কিত মন্তব্য করার পরই তীব্র বিতর্ক এবং কটাক্ষের মুখে পড়েছে৷ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর সেই মন্তব্যকে ঘিরে সরব হয়েছেন রাজ্য রাজনীতির একাধিক ব্যক্তিত্ব। এবার তাঁর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সিপিএম নেতাকে একহাত নিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাংশ ভট্টাচার্য। প্রবীণ এই সিপিএম নেতাকে কুকুর খুঁজতে নিজেদের পার্টি অফিসেই যাওয়ার পরামর্শও দিলেন তিনি।
এদিন দেবাংশু বলেন, ‘যারা নেতাজিকে তোজোর কুকুর বলেছিল তাঁরা পুলিশকেও কুকুর বলবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বরঞ্চ উনি যে সভা থেকে পুলিশকে কুকুর বলেছিলেন সেই সভারও সুরক্ষার দায়িত্বে ছিলেন কিছু পুলিশকর্মীই।’
তরুণ এই তৃণমূল নেতা আরও যোগ করেন, ‘আসলে সব দলের সবাই ধোয়া তুলসিপাতা হয় না। তৃণমূলেরও সবাই ধোয়া তুলসিপাতা এটা আমি বলতে পারব না। ডাক্তারদের মধ্যেও সবাই ভালো ডাক্তার হয় না। ৯৯ শতাংশ ভালো হলে ১ শতাংশ খারাপ হবেই। ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্রেও তেমনটাই। সব পেশার ক্ষেত্রেই খারাপ ভালো থাকে। এটাই সমাজের স্বাভাবিক নিয়ম। সেই একই নিয়ম পুলিশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পুলিশের মধ্যেও এক শতাংশ খারাপ থাকতে পারে। কিন্তু, সেই এক শতাংশের জন্য যারা পড়াশোনা করে আইপিএস হয়েছেন, তাঁদের কুকুরের সঙ্গে তুলনা করে মহম্মদ সেলিম নিজের জাত চেনালেন’
এরপরই রাজ্যে পুলিশের একাধিক ভূমিকা মনে করিয়ে চূড়ান্ত তোপটি দাগেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘মহম্মদ সেলিমকে বলব তাঁর যদি কুকুরের দরকার হয়, তিনি যেন পুলিশের মধ্যে থেকে না খোঁজেন। বরং তাঁর পার্টি অফিসে গেলে তিনি আরও ভালো কোয়ালিটির পেয়ে যাবেন।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার একটি প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘পুলিসকে না রেখে কয়েকটা কুকুর পুষলে তো ভালো হত। পুলিসের কুকুর থাকে না ট্রেনিং দেওয়া, শুঁকে শুঁকে বলে দিতে পারবে, কোন দিকে অপরাধী গিয়েছে, ওই রকম কুকুর। এসপিদের সরিয়ে কয়েকটা বিদেশী কুকুর পুষলেই রাজ্যের সমস্ত অপরাধের রহস্য ফাঁস করা যাবে। শুঁকেই অপরাধীদের ধরে ফেলবে তারা।’ আর তাঁর এহেন মন্তব্যের পরই কার্যতই তীব্রতর বিতর্ক ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও দেবাংশু ভট্টাচার্যের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি মহম্মদ সেলিম বা সিপিএমের তরফে।