বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিল্লির উপকণ্ঠে বসবাসকারী ১১০০ রোহিঙ্গাকে (Rohingya) নতুন ঘর দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় আবাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri)। ট্যুইট করে এই কথা জানান তিনি। আর তারপরই শুরু হয় বিতর্ক। আম আদমি পার্টি (AAP) সহ বিজেপির (BJP) বিরোধী গোষ্ঠী এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেয়।
আবাস মন্ত্রী তাঁর ট্যুইটে লেখেন, ‘যারা ভারতের কাছে আশ্রয় চেয়েছে তাদের প্রত্যেককে ভারত স্বাগত জানিয়েছে। এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লির বক্কারওয়ালা এলাকায় সমস্ত রোহিঙ্গাকে ইডাব্লুএস ফ্ল্যাটে পুর্নবাসন দেওয়া হবে। দেওয়া হবে প্রাথমিক সুযোগ সুবিধা। এবং ২৪ ঘন্টা পুলিশি নিরাপত্তা। এই ট্যুইটের পরই বিরোধীরা বিজেপিকে নিশানা করতে শুরু করে।
আম আদমি পার্টির বিধায়ক নরেশ বলিয়ান এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার সমস্ত রোহিঙ্গাকে 2BHK ফ্ল্যাটে পুনর্বাসন দিতে চলেছে। এই বিজেপিই এত অভিযোগ করে এসেছিল বিরোধীরা নাকি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়। বিজেপির থেকে বড় দুমখো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ গতকাল কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া এক ঘটনার প্রসঙ্গ টেকে আপ বিধায়ক আরও বলেন, ‘দিল্লিতে ১১০০ রোহিতকে ২৫০ টি ফ্ল্যাটে পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে। সেখানে তিন বেলার খাবাড, বিদ্যুৎ, এসি সব বিনামূল্যে পাওয় যাবে। অন্যদিকে দু’জন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে গুলি করে হত্যা করল সন্ত্রাসবাদীরা। সেদিকে বিজেপি সরকারের কোনও হুঁশ নেই।’
এর আগে জুলাই মাসে একটি বৈঠক হয় রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন বিষয়ে। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি রোহিঙ্গা বস্তিতে আগুন লেগে যায়। তারপর তাঁদের সরিয়ে এনে যেখানে রাখা হয় সেখানে ত্রিপল বাবদ সরকারের খরচ হচ্ছে মাসে ৭ লক্ষ্য টাকা। এরপরই সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়। এদিনের বৈঠকে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ওই ফ্ল্যাটগুলিতে যাতে সুরক্ষার কোনও কমতি না থাকে।
বিতর্ক শুরু হতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বয়ান দেয়, ‘এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে রোহিঙ্গাদের ঘর দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়নি। যদি ভবিষ্যতে কোনও দিন এই রকম কোনও পরিকল্পনা করা হয় তাহলে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফ থেকে বিবৃতিতে দিয়ে জানা যাচ্ছে।
করোনা মহামারি সময় রোগীদের আইসোলেশনের জন্য এই ফ্ল্যাটগুলি ব্যবহার করে দিল্লি সরকার। যে সমস্ত রোহিঙ্গাদের ওই ফ্ল্যাটে পুনর্বাসন তাদের প্রত্যেক্ষের আলাদা পরিচয় থাকবে। সমস্ত রোহিঙ্গাদের তথ্য ভারত সরকারের কাছে থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, আপ-এর মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ এই বিষয় নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনও করতে চলেছেন। এখন দেখার রোহিঙ্গা শরনার্থীরা আদৌও ঘর পাবেন নাকি খোলা আকাশের নিচে অথবা ত্রিপলের ভিতরই জীবন কাটাতে হবে তাঁদের।