বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য পড়াশুনার কোন বিকল্প হয় না। এজন্য ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের শেখানো হয়, ‘পড়াশুনা করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’। আর যেহেতু ছোটবেলাই হল প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি, সেই কারণে এই ভিত্তি করে মজবুত করে তোলা খুবই জরুরী। আর তার জন্যই প্রয়োজন ঠিকমত পড়াশুনা।
পড়শুনার পাশাপাশি প্রয়োজন একটি স্টাডিরুমেরও (Study room)। আজকাল প্রতিটি বাড়িতেই একটি করা আলাদা স্টাডি রুম আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কী আপনার বাচ্চার পড়ায় মন বসছে না? আপনি কি বাস্তু মেনে বানিয়েছিলেন এই স্টাডি রুম? যদি না বানিয়ে থাকেন, তবে মন দিয়ে দেখে নিন এই বিষয়গুলো, যা করলেই আপনার বাচ্চারও পড়ায় মন বসবে।
শিশুর পড়ার ঘরটি উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব দিকে তৈরি করা উচিত।
স্টাডি রুমে সবসময় টাকটা পদ্মফুল রাখার চেষ্টা করবেন। এতে শিশুর উপর দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদ থাকবে।
স্টাডি রুমের আলমারিটিও উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব দিকে রাখা উচিত।
ধারণা করা হয় ময়ূরের পালক মনের নেতিবাচক প্রভাবকে দূরে করে। মনে পজেটিভ চিন্তার সঞ্চার ঘটায়। তাই দেরী না করে ময়ূরের পালক রাখার ব্যবস্থা করুন স্টাডি রুমে।
বিদ্যার দেবী সরস্বতীর (Saraswati) আরাধনা আমরা সকলেই করি। কিন্তু কখনও কি স্টাডি রুমে তাঁর একটি ছবি আমরা রাখি? সবসময়ই চেষ্টা করবেন ঠাকুর ঘরে একতি সরস্বতী ঠাকুরের ছবি রাখার।
শিশুদের দক্ষিণ দিকে মুখ করে পড়তে বসার পরামর্শ দিন, যা বাস্তু সম্মত।
বাস্তু অনুযায়ী আপনি রাজহাঁসের একটি মূর্তিও স্টাডি রুমে রাখতে পারেন। দেবী সরস্বতীর বাহন হওয়ায় রাজহাঁসকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
স্টাডি রুমে কখনই টিভি, ভিডিও গেম, সিডি প্লেয়ার রাখবেন না। অন্যথায় শিশুদের মন ওই বিষয়গুলোর প্রতি আকর্ষিত হতে পারে।