বাংলাহান্ট ডেস্ক: বছর দুয়েক আগে মাদক কাণ্ডে নাম জড়িয়ে সকলের বিরাগভাজন হয়েছিলেন দীপিকা পাডুকোন (Deepika Padukone)। ট্রোল, সমালোচনা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুখ লুকাতে বাধ্য হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এখন অবশ্য সেসব পুরনো কথা সকলে ভুলে গিয়েছেন সবাই। দীপিকাও আবার আগের ছন্দে ফিরেছেন।
কিন্তু সম্প্রতি তাঁর নতুন ছবি ‘গহরাইয়া’র জেরে আবারো পুরনো দিন মনে পড়ে গিয়েছে দীপ্পির। ব্যাপক ট্রোলের মুখে পড়তে হচ্ছে পরিচালক শকুন বাত্রা, অনন্যা পাণ্ডে, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীকে। গোঁদের উপরে বিষফোঁড়ার মতো নতুন ফটোশুট করেও কুরুচিকর ট্রোলের মুখে পড়েছেন দীপিকা।
নতুন নতুন চমক দিতে বেশ ভালবাসেন তিনি। এবার সুইমিং পুলের জলের মধ্যে লেন্সবন্দি হয়েছেন অভিনেত্রী। কমলা মনোকিনি পরে পোজ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর পোজগুলো অনেকের কাছেই ‘অদ্ভূত’ লেগেছে। ব্যস, শুরু হয়ে গিয়েছে ট্রোল। কারোর প্রশ্ন, সুইমিল পুলের মধ্যে ‘পটি’ কেন করছেন দীপিকা। আবার কারোর কুৎসিত কটাক্ষ, লুকিয়ে লুকিয়ে প্রস্রাব করছিলেন বুঝি তিনি।
https://www.instagram.com/p/CaE601cpBqm/?utm_medium=copy_link
ট্রোল অবশ্য আগেও হয়েছেন দীপিকা। কিছুদিন আগে গহরাইয়ার প্রচারে একটি খোলামেলা কমলা রঙের পোশাক পরে ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন তিনি। এক নামী সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারও কটাক্ষ শানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। দীপ্পি পালটা তোপ দাগলে বিতর্ক শুরু হয়।
গহরাইয়া ছবিটি নিয়েও কম সমালোচনা সহ্য করতে হয়নি অভিনেত্রীকে। দীপিকাকে কটাক্ষ করে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘আমিও তরুণ প্রজন্মের একজন মানুষ কিন্তু আমি এই ধরনের রোম্যান্স বুঝতে পারি। নতুন প্রজন্মের ছবির নামে দয়া করে আবর্জনা বিক্রি করবেন না। খারাপ ছবিগুলো খারাপই। যত খুশিই শরীর বা পর্নোগ্রাফি দেখানো হোক না কেন, তা বাঁচানো যাবে না। এটা একটা সাধারন সত্য, কোনো ‘গহরাইয়া’র ব্যাপার নেই।’
অবশ্য কঙ্গনা একা নন। স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচক কামাল আর খানও দীপিকার ছবিকে রীতিমতো অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেছেন। গহরাইয়াকে ‘সফট পর্ন’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রযোজক করন জোহর ও দীপিকাকে যথাক্রমে ‘যৌনতার দেবতা’ ও ‘যৌনতার রানী’ বলে ব্যঙ্গ করেছেন কেআরকে।