বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘প্রশ্ন ঘুষ’ কাণ্ডে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra)। টাকার বিনিময়ে সংসদে আদানিদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ভোটের আবহে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। এসবের মাঝেই তৃণমূল (TMC) নেত্রীর জন্য এল সুখবর।
মহুয়ার দাবি, তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর তাঁকে নিয়ে নানান মন্তব্য করেছেন তাঁর একদা বন্ধু জয় অনন্ত দেহদ্রাই (Jai Anant Dehadrai)। অন্যদিকে অনন্তের দাবি, মহুয়া তাঁর বিষয়ে নানান কথা বলেছেন। বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন অনন্ত। মঙ্গলবার শুনানি ছিল সেই মামলার। সেখানেই তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের (Delhi High Court)।
মহুয়ার বিরুদ্ধে ‘অবমাননাকর মন্তব্যে’র অভিযোগ এনেছিলেন অনন্ত। একইসঙ্গে সেগুলি যাতে বন্ধ করার নির্দেশ দেয় আদালত সেই আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। তবে গতকালের শুনানিতে দিল্লি হাই কোর্ট স্পষ্ট জানায়, অনন্ত যদি মহুয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হন, তাহলে মহুয়ার কাছেও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জেলে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! কারারক্ষীরা ছুটে যেতেই…
তবে অনন্তের বিরুদ্ধে কোনও মিথ্যে অভিযোগ আনতে পারবেন না মহুয়া। তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এদিনের শুনানিতে অনন্তের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের চেয়ে বেশি প্রভাবশালী একজন ব্যক্তিত্ব হলেন মহুয়া। তাই তাঁর মন্তব্যের প্রভাব অনন্তের কর্মজীবনে পড়ছে। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রীর আইনজীবীর আবার দাবি, তাঁর মক্কেল অনন্তের বিরুদ্ধে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করেননি। তিনি যা যা বলেছেন সব কিছুর পিছনে যুক্তি রয়েছে বলে দাবি করেন তাঁর আইনজীবী।
দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর হাই কোর্ট জানায়, সাম্প্রতিককালে অনন্তের সম্বন্ধে কোনও প্রকার মন্তব্য করেননি মহুয়া। তবে অতীতে তাঁর মন্তব্যর কারণে অনন্তের কর্মজীবন কতখানি প্রভাবিত হয়েছে তাঁর পর্যালোচনা করতে হবে। পাশাপাশি আদালত এও জানিয়েছে, তৃণমূল নেত্রী যদি অনন্তের বিরুদ্ধে কোনও মিথ্যে অভিযোগ আনেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৫ এপ্রিল।
প্রসঙ্গত, ‘প্রশ্ন ঘুষ’ কাণ্ডে জড়িয়ে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হলেও, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর থেকে ফের তাঁকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল শিবির। লোকসভা কেন্দ্রের নানান আসনে ঘুরে ঘুরে প্রচার করছেন তিনি। অন্যদিকে দাপুটে এই নেত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপি দাঁড় করিয়েছে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্যা, রাজমাতা অমৃতা রায়কে।