বাংলা হান্ট ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) বুকে চলছে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ। আর সেই কাজে যেসমস্ত বস্ত বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাদের একদম মূল থেকে তুলে ফেলেছে NDMC, অর্থাৎ নতুন দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। কয়েকদিন আগেই NDMC ভেঙে ফেলা হয় পুরানো সুনেহরি বাগ মসজিদ (Sunehri Bag Masjid), যা কিনা 700 বছরের পুরনো। এরপর একই হাল হয় 900 বছরেরও বেশী পুরনো এক সমাধির। বুলডোজারে করে একদম সমূলে উৎখাত করে দেওয়া হয়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো আরো একটি মসজিদ (Delhi Masjid)।
রাস্তায় যানবাহনের চলাচল ঠিক করার জন্য এবং ভিড় কমিয়ে ফেলতে বেশ কিছু বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে NDMC। ট্র্যাফিক পুলিশের কাছ থেকে রেফারেন্স পাওয়ার পরেই ডিসেম্বর নাগাদ মধ্যযুগীয় যুগের মসজিদটি অপসারণের জন্য একটি পাবলিক নোটিশ জারি করে তারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, মসজিদ সরানোর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর NDMC মসজিদ সরানোর প্রস্তাবে জনগণের মতামত চেয়েছে।
এরপর ঘটনাটি পৌঁছায় হাইকোর্টে। এই সম্পর্কে দিল্লি হাইকোর্টের সিনিয়র ট্রাফিক পুলিশের আইনজীবী সঞ্জয় জৈন বলেছেন যে, পুরো বিষয়টি HCC-এর সাথে বিবেচনাধীন রয়েছে তাই আবেদনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখে বিচারপতি শচীন দত্ত প্রশ্ন তোলেন যে, এখনই পিটিশনের পক্ষে যুক্তি দেওয়া যায় কি না। কারণ HCC সুপারিশের পরেই মসজিদ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কেন বুলডোজার চালানো হবে?
বিষয়টি সম্পর্কে NDMC জানিয়েছে যে, সুনেহরিবাগ মসজিদের কারণে যানজটের সমস্যা রয়েই গিয়েছে। আর এই কারণে গোলচত্বর থেকে সুনেহরি বাগ মসজিদকে সরিয়ে ফেলাই একমাত্র বিকল্প। 21 ফেব্রুয়ারি, দিল্লি হাইকোর্ট প্রস্তাবিত সুনেহারি বাগ মসজিদ ধ্বংসের বিরুদ্ধে দায়ের করা পিআইএল বিবেচনা করতে অস্বীকার করা হয়।
সুনহরি বাগ মসজিদের একটি বিশেষ জিনিসও রয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই মসজিদের সাথে মুঘল আমলের সংযোগ রয়েছে। জানা যায়, চাঁদনি চকের গুরুদ্বারাটি সিস গঞ্জ সাহেবের কাছ হয়ে একসময় লাল কেল্লার দিকে যাওয়ার রাজকীয় রাস্তা ছিল। অনেক ঐতিহাসিক বিশ্বাস করেন যে সুনেহরি বাগ মসজিদের নির্মাণ হয় 18 শতকে। এই মসজিদ মুঘল সম্রাট মুহম্মদ শাহের আমলে তৈরী হয়।