বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বৃথা গেল সূর্যকুমারের মরিয়া চেষ্টা। আজ ভারতের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কত রান করার রেকর্ড করেছিলেন সূর্যকুমার। হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া একটি ম্যাচে ভারতকে প্রায় একহাত দিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফল মিলল না। তিনি যখন ৫৫ বলে ১১৭ রান করে আউট হন তখন জয়ের জন্য ভারতের আরো ২৫ রান বাকি কিন্তু আর কোন ব্যাটসম্যান অবশিষ্ট ছিল না। ফলস্বরূপ ১৭ রানের ব্যবধানে হারতে হল ভারতকে।
<span;>আজ নিয়মরক্ষার ম্যাচ হওয়ায় ভারতীয় দলে ছিল কিছু পরিবর্তন। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভুবনেশ্বর কুমার, যশপ্রীত বুমরা এবং যুজবেন্দ্র চাহালকে বাদ দিয়ে উমরান মালিক, আবেশ খান এবং রবি বিশ্নই কে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। আজ টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। কিন্তু বাটলার চলতে শুরু করলেও জেসন রয় আজও অফফর্মে। বাটলারও বেশিক্ষণ সমস্যা তৈরি করেননি। ৯ বলে ১৮ রান করে আউট হন তিনি। রয়ও ২৬ বলে ২৭ রান করে উমরানের শিকার হন। কিন্তু এরপর ব্যাট হাতে তান্ডব শুরু করেন ডেভিড মালান। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন লিয়াম লিভিংস্টোন (৪২)। মূলত মালানের ৩৯ বলে ৭৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংসের দৌলতে এবং শেষদিকে হ্যারি ব্রুকস (১৯) এবং ক্রিস জর্ডানের (১১) ক্যামিওতে ভর করে স্কোর বোর্ডে ২১৫ রান তোলে ইংল্যান্ড। ভারতের হয়েও ২টি করে উইকেট নেন হর্ষল প্যাটেল এবং লেগস্পিনার রবি বিশ্নই। তিনি আজ ভারতের সেরা বোলার।
<span;>জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি ভারতের। ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং রিশভ পন্তকে ফেরান টপলি। বিরাট কোহলি কিছুটা ঝড় শুরু করে আশা জাগালে ও তিনিও ৬ বলে মাত্র ১১ রান করে আউট হন। ৫ ওভারের মধ্যে ৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত। এখান থেকে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন সূর্যকুমার যাদব এবং শ্রেয়স আইয়ার।
<span;>শ্রেয়স আইয়ার এক দিকটা ধরে রাখছিলেন এবং পাল্টা ইংলিশ বোলারদের আক্রমণ করেছিলেন সূর্যকুমার। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আক্রমনাত্মক ইনিংসটি আজই তিনি খেলে ফেলেছিলেন। ৫১ বলে নিজের শতরান সম্পন্ন করেন তিনি। কিন্তু একটা সময়ের পর কেকে শ্রেয়াস আইয়ার, দীনেশ কার্তিক, রবীন্দ্র জাদেজারা আউট হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন। তাই মঈন আলীর বলে যখন তিনি আউট হয়ে ফেরেন তখনই শেষ হয়ে যায় ভারতের সমস্ত আশা। ১৯৮ রানের বেশি করতে পারেনা ভারত, কিন্তু সূর্যকুমারের এই ইনিংসটা মনে থেকে যাবে সকল ক্রিকেটপ্রেমীর। তবে ৩-০ না হলেও ২-১ ফলে সিরিজ জিতলো ভারত।