আপনার সঙ্গে যদি হয়ে থাকে ‘অনলাইন ফ্রড” তাহলে ১০ দিনের মধ্যে এভাবে উদ্ধার করুন টাকা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিশেষত এই লকডাউনে সাইবার ক্রাইম ভীষণ বেড়ে গিয়েছে। একদিকে যেমন সময় বাঁচাতে এবং করোনা সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে অনলাইন লেনদেনের উপর বেশি নির্ভর করছেন সকলে তখনই অন্যদিকে বেড়ে চলেছে সাইবার ক্রাইম। অনলাইন প্রতারণার মাধ্যমে বহু গ্রাহক নিজেদের টাকা পয়সা হারাচ্ছেন। লকডাউনে বিশেষত গত এক বছরে এই সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা আরও বেড়ে গিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা একটি রিপোর্ট অনুযায়ী শুধুমাত্র গত এক বছরেই এই অনলাইন প্রতারকদের হাতে পড়েছেন ২.৭ কোটি মানুষ। অনলাইনে এ ধরনের টাকা চুরির ক্ষেত্রে সমস্যা খুবই মারাত্মক হতে পারে কারণ এক্ষেত্রে টাকা উদ্ধারের প্রায় কোন সম্ভাবনাই থাকে না। ইন্টারনেটে প্রতারণা চালানোর জন্য, হ্যাকাররা ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে যা একেবারে বৈধ বলে মনে হয়। তারপর ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে টাকা চুরি করে হ্যাকাররা। যার জেরে এই জালিয়াতি ধরা খুবই কঠিন।

তবে আর বি আই-এর গাইডলাইন অনুযায়ী আপনিও যদি এই প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে টাকা হারাবার ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। আপনাকে শুধুমাত্র সঠিক সময়ে ব্যাংকের কাছে এই তথ্য পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই হারানো টাকা ফেরত পেতে আর কোনও অসুবিধা হবে না আপনার। বেশিরভাগ ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য আর্থিক জালিয়াতি বীমা রয়েছে। অননুমোদিত অর্থ কোন স্থানান্তর ঘটলে এক্ষেত্রে গ্রাহককে টাকা ফেরত দেয় বীমা কোম্পানিগুলি।

0x0 20 percent of social media users victims of cyberbullying 1549917837655

ব্যাংককে বিষয়টি জানানো হলে তারা পুরো ব্যাপারটি বীমা কোম্পানিকে জানায়, তারপর গ্রাহকের অর্থক্ষতি যাতে কম হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে মনে রাখবেন ব্যাংক ১০ দিনের মধ্যে আপনার টাকা অ্যাকাউন্টে ফিরিয়ে দেবে ঠিকই কিন্তু তার জন্য জালিয়াতির তিনদিনের মধ্যেই আপনাকে সেই তথ্য ব্যাংকের কাছে দিতে হবে। এক্ষেত্রে তিন দিনের বেশি দেরি করলে ২৫০০০ টাকা অবধি লোকসান হতে পারে গ্রাহকদের।

 

 

Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর