বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজনীতি, অভিনয় আর ব্যক্তিগত জীবন দিব্যি ব্যালেন্স করে চলতে পারেন দীপক অধিকারী। ফিল্ম দুনিয়ায় যদিও তাঁর পরিচয় দেব (dev) নামে। তৃণমুলের (tmc) টিকিটে দুবার ঘাটালের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ফিল্ম নিয়েও চূড়ান্ত ব্যস্ত রয়েছেন দেব। পরপর বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তির অপেক্ষা রয়েছে।
কিন্তু আপাতত রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা করছেন তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে হয়তো আর প্রার্থী নাও হতে পারেন তিনি। তবে কি দল বদলাতে চলেছেন দেব? তৃণমূল ছেড়ে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন তিনি?
সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে দেব জানান,অন্য কোনো দলে তিনি যোগ দেবেন না। তবে তাঁকে যদি বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে ভাল হবে। দেবের মতে, ১০ বছর অনেকটা সময়। তাই সম্ভবত আগামী ভোটে তাঁকে প্রার্থী হিসাবে নাও দেখা যেতে পারে।
২০১৪ তে নিজের অভিনয় কেরিয়ারের শীর্ষে থাকার সময় রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন দেব। এই ১০ বছরে বদলেছে অনেকটাই। দেবের কথায়, এখন রাজনীতিতে শুধু রাজটাই পড়ে আছে। নীতি আর নেই। শুধু মাত্র ‘মমতাদি’কে ভালবেসেই এত বছর ধরে রাজনীতিতে রয়েছেন তিনি। ওই মানুষটাকে না বলতে পারেন না দেব।
অভিনেতার আশঙ্কা, আগামীতে দেশের রাজনীতিতে খারাপ সময় আসতে চলেছে। রাজনীতির ময়দানে সবাই বড় বড় অভিনেতা। এখানেই শেষ নয়। দেবের কথায়, “এখন খবরের চ্যানেল দেখলে আমাদের বাচ্চারা বিগড়ে যাবে। কারণ ওটা থেকে আর কিছুই শেখার নেই। বাচ্চারা ভাববে, সকলেই মনে হয় চোর! আমার মনে হয় এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে আমাদের পরের প্রজন্ম হয়তো টিভিই দেখবে না।”
রাজনীতির অভ্যন্তরের নোংরামি নিয়েও বরাবরের মতোই সরব দেব। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটেই দেখা গিয়েছিল অভিনয় থেকে রাজনীতিতে আসার হিড়িক। সে সময় কিছু মানুষ দেবের কাছেও প্রশ্ন রেখেছিলেন তিনি কোন দলে যাচ্ছেন? এতটুকু রাখঢাক না করে অভিনেতা বলেন, ২০১৪ এ রাজনীতিতে পা রেখেই তিনি দেখেছিলেন, উপর মহলের নেতারা আগে থেকেই নিজেদের ‘সেটিং’ করে রেখেছেন। তাঁরা শুধু কলকাঠি নাড়েন আর প্রাণ যায় উলুখাগড়ার।
দেবের স্পষ্ট কথা,বড় বড় নেতারা হেরে গেলেই দল বদলে নেন। আর যে কর্মীরা ওই নেতাকে এতদিন ধরে সমর্থন করে এল তারা মার খায়। তাই নিজের দলের কর্মীদের তাঁর পরামর্শ, তাঁর উপরে নির্ভর করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না নিতে। বরং নিজের পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।