বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপূজায় (Durga Puja 2022) অনুদান নিয়ে সরব হলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ‘গরু বিক্রির টাকায় দুর্গাপূজা!’ ক্লাবগুলিকে পুজো অনুদান দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকাকে এমনই কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘গরু বিক্রি করে, সেই টাকায় দুর্গাপূজা হবে। আমি জানি না, পুজোর লোকেরা এই পাপের টাকা দিয়ে দুর্গাপূজা করবেন কিনা। আবার সেই পুজো লোকে দেখতেও যাবে কিনা’।
আর কয়েক দিন পরই বাংলার শ্রেষ্ট উৎসব দুর্গাপূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠক হল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। গত বার ক্লাবগুলি ৫০ হাজার টাকা করে পুজো অনুদান দেওয়া হয়। এবছর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘আমার কাছে কিন্তু টাকা নেই। ভাঁড়ার শূন্য। মা দুর্গা ভাঁড়ার পূর্ণ করে দেবেন, আমি আশা করি। তাই এবার আমাদের কষ্ট থাকা সত্ত্বেও পঞ্চাশ হাজারটা বাড়িয়ে ষাট হাজার করে দিলাম’। তিনি আরও বলেন, ‘এবারের পুজো স্পেশাল। আমি ইলেকট্রিক সাপ্লাই ও স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ডকে পঞ্চাশ শতাংশ ছাড়টা ৬০ শতাংশে বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ করছি। ফায়ার ব্রিগেডে পয়সা লাগে না। ট্যাক্স লাগে না, বিজ্ঞাপনেও ট্যাক্স লাগে না’।
এই ঘোষণার পরই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আর কতদিন ঘুষের টাকায়, কালো টাকায় দুর্গাপূজা চলবে? শিক্ষারত্ন পাওয়া শিক্ষক পেনশন না পেয়ে হতাশায় আত্মহত্যা করছেন, আর দুর্গাপূজার জন্য ৬০ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে’!
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ক্ষোভ উগড়ে দিলেন সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের ভাঁড়ার শূণ্য। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ভাঁড়ার একেবারে পূর্ণ। আরও টাকা বাড়িয়েছেন, বেশ করেছেন। ওঁর কাছে অগ্রাধিকার, মানুষের আবেগকে ব্যবহার করে যদি ভোটে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যায়। তাতে মানুষের সর্বনাশ হয়, হোক। উন্নয়ন না হয়, না হোক’।
সুজনবাবু আরও বলেন, ‘কোনও ক্লাবই তো বলেনি, আমরা পুজো করব, আপনি আমাদের টাকা দিন। বরং পশ্চিমবঙ্গ ক্লাবগুলি নিজের খরচে পুজো করার পর বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াত। সেই সামাজিক ভিত্তিটাই ধ্বংস করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী’
শুধু তাই নয়, এবার পুজোয় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১০ দিন সরকারি কর্মীদের ছুটিও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘোষণা নিয়েও আপত্তি জানায় রাজ্যের সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার বকেয়া ডিএ না দিয়ে ছুটি দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছেন। তাই ১০ দিন ছুটির বদলে প্রাপ্য ডিএ মিটিয়ে দিতেই মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তাঁরা।