বাংল হান্ট ডেস্কঃ প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে কলকাতার (Kolkata) রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ কাটলেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। একেতেই করোনার সঙ্কট আরেকদিকে আমফানের তাণ্ডবে জেরবার বাংলা। কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুত সরবরাহ সুস্থ হয়নি। আরেকদিকে ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি, ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যের বহু এলাকা এখনো অন্ধকারাচ্ছন। শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নামান হয়েছে সেনা। ভারতীয় সেনার জওয়ানরা কলকাতা জুড়ে ব্যাপক হারে চালাচ্ছে উদ্ধারকার্য। আর এই বিপদের সময় সাদা টি-শার্ট ও হাফ প্যান্ট পরে রাস্তায় একজনকে গাছ কাটতে দেখা গেলো। তিনি আর কেউ নন, তিনি বিজেপির সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এর আগেও ওনাকে নিজের দেহরক্ষীদের নিয়ে গাছ সরাতে দেখা গেছে। দিলীপ ঘোষের ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হয়েছিল। আর এরপর আজকের গাছ কাটার ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ওনাকে এই অবস্থায় দেখে অনেকেই ওনার প্রশংসা করছেন। আবার ওনেকেই বলছেন এটা একটা পলিটিক্যাল স্টান্ট মাত্র।
একদিকে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুত না আসার জন্য এলাকাবাসী যখন রাজ্য সরকারকে দুষছে। তখন কলকাতার মেয়ের ফিরহাদ হাকিম এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলছেন কলকাতায় বিদ্যুত সরবরহার করে সিইএসসি। ওটি একটি বেসরকারি সংস্থা আর সিপিএম এর আমলে তৈরি তাই এটা নিয়ে সরকারকে দোষ দেবেন না।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী এবং মেয়রের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘সরকার এখন অজুহাত পেয়েছে। আর এই অজুহাতের কারণে ঝড়ের চারদিন পরও রাস্তায় গাছ পড়ে আছে, কাটার কেউ নেই। তাই আমরাই গাছ কেটে পরিস্কার করে দিলাম।”
আপনাদের জানিয়ে দিই, দিলীপ ঘোষ পরপর দুইদিন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিদর্শনে গিয়ে পুলিশের বাধা পান। প্রথম দিন গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। দ্বিতীয়দিন ওনার গাড়ি আটকালেও উনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিদর্শন করতে পায়ে হেঁটেই রওনা দেন।