বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চার জেলার উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হল মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ। আর চারটি জেলাতেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল (tmc) শিবির। বিধানসভা নির্বাচনের মতই এই উপনির্বাচনেও ভরাডুবি হয় বিজেপির। কিন্তু হেরে গিয়ে সমস্ত দায়ভার শাসক দলের উপরেই চাপালেন দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। এই উৎসবের মরশুমে নির্বাচন চাইনি বলেও জানালেন তিনি।
গত ৩০ শে অক্টোবর বাংলায় চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। নতুন করে বিধায়ক নির্বাচনের জন্য উপনির্বাচন হয় খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর, দিনহাটা কেন্দ্রে। কিন্তু ২ রা নভেম্বর অর্থাৎ আজ ফলাফল শেষে দেখা যায় সব কটি আসনেই বিরাট ব্যবধানে জয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থী। এমনকি দিনহাটা, খড়দহ এবং গোসাবা কেন্দ্রে জামানত বাজেয়াপ্তও হয় বিজেপির।
কিন্তু এই ভরাডুবির জন্য সাফাই দিয়ে শাসক দলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত সন্ত্রস্ত আবহে নির্বাচন হয়েছে দিনহাটায়। ঠিকমত প্রচার করতে দেওয়া হয়নি আমাদের, এমনকি গাড়ি ভাড়াও দেওয়া হয়নি। কোনও গণতান্ত্রিক পরিবেশ আগামী দিনে রাজ্যে থাকবে না। এরপর নির্বাচনে শুধুমাত্র তৃণমূলই প্রার্থী দেবে আর ১০০ শতাংশ ভোট পাবে। আর এই উৎসবের মরশুমে আমরা একদমই নির্বাচন চাইনি’।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, উপনির্বাচনে শান্তিপুরের তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী জয়ী হয়েছেন ৬৩,৮৯২ ভোটে। খড়দহে ৯৩ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ১ লক্ষ ৪১ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে গোসাবায় জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল। দিনহাটায় ১ লক্ষ ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ।
দলের এই পরাজয়ের পর রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই পরাজয় আমরা মেনে নিচ্ছি। আগামী দিনে আরও বেশি করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়া হবে’।