বাংলা হান্ট ডেস্ক : জমে উঠেছে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচার। একদিকে সিপিএম কংগ্রেসের জোট যখন নিজেদের ঘরে ভোট বাক্সে ভোট জোগাড় করতে ব্যস্ত অন্যদিকে তৃণমূলের প্রচার এর প্রধান তপন দেব সিংহনেমে গেছেন প্রচার এর ময়দানে। তার সাথে দলীয় কর্মীদের উৎসাহ করার মতো একের পর এক মানুষের জনসংযোগ যাত্রা করছেন। তিনি কখনো বাজারে তো কখনো রাস্তায় একের পর এক মানুষের সাথে জানতে চাইছেন তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা। অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ এর মত একটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে কমল সরকার কে।তাদের হেভিওয়েট নেতাদের যাদের পাল্লা এত ভারী যে জনসাধারণের মধ্যে যেন একটা ভোটের দামামা বেজে যাওয়ার মত। বাদ্য ঘণ্টা বেজে যাচ্ছে। তাদের আসার কথা শুনে বেশ কিছুদিন আগে কালী পূজার আগে মুকুল রায় কালিয়াগঞ্জ এসেছিলেন তার সাংগঠনিক বিষয়টিকে মজবুত করতে। তিনি আবারও এলেন। তবে সাথে আনলেন এবার দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহা কে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রধান স্তম্ভ কে পেয়ে কালিয়াগঞ্জ এর মানুষ এতটাই উচ্ছ্বসিত যে ভিড় চোখে পড়ার মতো।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে একদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতি এনআরসি ইস্যু যখন অনেকটা স্তিমিত হয়ে গেছে তখন অন্যান্য বিরোধী দলগুলো সেগুলো বিষয়কে প্রচারে আলোতে আনতে চাইছে। দেশের অর্থনীতির বিষয় কে মাথায় রেখে লোকসভা কেন্দ্র টি জিতেছিল বিজেপি। শুধু অর্থনীতির বিষয় নয় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ের কোথাও সেইসময় ভোট বাজারে বেশ ভালোই প্রচারের আলোয় ছিল। এবং ফের একবার মোদি সরকার এর স্লোগান ও উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে যথেষ্ট আবেগ এনে দিয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এবার যে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রধান কার্তিক চন্দ্র পাল মহাশয় তার নির্বাচনী প্রচারে কাজের মূল্যায়ন খতিয়ানকে তুলে ধরছেন যা কিন্তু অনেকটাই দাবি রাখে তা আর দলের ভোটে জিতে আসার ক্ষেত্রে। দিদিকে বল কর্মসূচি নিয়ে একাধিক কর্মসূচি করেছেন।
কালিয়াগঞ্জ এর তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা এবং তাদের মধ্যে জনসংযোগ বার্তা উৎসবের মরসুম থেকেই অনেকটা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এবার প্রশ্ন হচ্ছে যেখানে গোটা রাজ্যে গরুর দুধে সোনা নিয়ে ব্যস্ত। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আরম্ভ করে বিজ্ঞান মহলের যুক্তিকে তুলে ধরে রমরমিয়ে চলছে বাজার গরম তখনই কিন্তু প্রচারের আলোয় চলে এসেছে নেতাদের এসমস্ত কথা। তবে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে হেভিওয়েট কোন নেতার দেখা মেলেনি। কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপি। সিপিএম কংগ্রেস এখনও নিজেদের ঘর গোছাতে ব্যস্ত। উত্তর মিলবে ভোটের মহারণে আর সেই উত্তরের অপেক্ষায় থাকতে হবে 28 নভেম্বর পর্যন্ত।