বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে (Debanjan Deb) নিয়ে রাজ্যে রাজনৈতিক তরজা কমার নামই নিচ্ছে না। একদিকে বিজেপি যখন তৃণমূলের দিকে দেবাঞ্জনকে নিয়ে অভিযোগের আঙুল তুলছে। তখন আরেকদিকে, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের তরফ থেকে একটি ছবি প্রকাশ করে দেবাঞ্জন কাণ্ডে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং রাজভবনকে টেনে আনা হয়েছে। তৃণমূলের তরফ থেকে একটি ছবি প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে যে, দেবাঞ্জনের ড্রাইভার রাজভবনে গিয়ে গোপন খাম এবং অনেক উপহার দিয়ে আসত। আর এরই মধ্যে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
এদিন দিলীপবাবু একটি টুইট করে দাবি করেছেন যে, দেবাঞ্জন দেব তৃণমূলের পদাধিকারী ছিলেন। দিলীপবাবু টুইটে লেখেন, ‘দেবাঞ্জন দেব দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের তথ্য প্রযুক্তি সেলের আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন বলে খবর পেয়েছি। সংগঠন থেকে সরকার সব জায়গায় জড়িত ছিলেন তিনি। সর্বোচ্চ নেতারা জানতেন। তাঁরা জানতেন বলেই এতদিন তিনি এসব করতে পেরেছেন।” যদিও দিলীপ ঘোষের এই দাবি নস্যাৎ করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
দেবাঞ্জন দেব দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের তথ্য প্রযুক্তি সেলের আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন বলে খবর পেয়েছি। সংগঠন থেকে সরকার সব জায়গায় জড়িত ছিলেন তিনি। সর্বোচ্চ নেতারা জানতেন। তাঁরা জানতেন বলেই এতদিন তিনি এসব করতে পেরেছেন। pic.twitter.com/ylOsOoMaPz
— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) July 1, 2021
এর আগে ভুয়ো আইএএস আধিকারি দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক এবং সাংসদদেরে ছবি ফাঁস করেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, দেবাঞ্জন তৃণমূলের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিল। আর এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে রাজ্যের গোয়েন্দা দিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে যাতে তৃণমূলের গায়ে কোনও দাগ না লাগে। উল্লেখ্য, দেবাঞ্জনের ভুয়ো টিকাকেন্দ্রে তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী নিজে টিকা নিয়েছেন। এবং তিনি টিকা নেওয়ার আগে দেবাঞ্জনের ওই টিকাকেন্দ্রকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে সবাইকে সেখান থেকে টিকা নেওয়ার আবেদনও করেছিলেন।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই অভিযোগের পর পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূলও। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ কাঁচের ঘরে বসে ঢিল ছুঁড়ছেন।” কুণালবাবু এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে টেনে এনে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন। যদিও, একদিন আগেই শুভেন্দুবাবু কুণাল ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন যে, ‘দেড় বছর জেল খাটা মানুষের কোনও কথা জবাব দেব না।”