বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘উনি হলেন ডেঙ্গি মিনিস্টার। ডেঙ্গি চেয়ারম্যান’, কলকাতার মেয়র তথা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) এভাবেই আক্রমণ শানালেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং রাজ্যের শাসক দলকেও একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দেন তিনি।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৪০ হাজারের অধিক মানুষ ইতিমধ্যে সংক্রামিত। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা শহর জুড়ে ডেঙ্গি অভিযান করে চলেছি। সেই প্রসঙ্গে উনি বলছেন, সিপিএম আন্দোলন করছে বলে আমরাও নাকি করছি। আসলে উনি হলেন ডেঙ্গি মিনিস্টার। যেদিন থেকে মেয়রের পদে বসেছেন, তবে থেকে ক্রমাগত অসুখ বেড়ে চলেছে। খালি বিবৃতি দিয়ে উনি ভাবেন, দায়িত্ব শেষ করে দেবেন। বর্তমানে করোনার থেকেও ভয়ংকর পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে ডেঙ্গি।”
দিলীপবাবু আরো বলেন, “চল্লিশ হাজার মানুষ সংক্রামিত। আরো অনেকেই রয়েছেন। আসলে হাসপাতালে না গেলে পরিস্থিতি আন্দাজ করা মুশকিল আর এই অবস্থায় ফিরহাদ হাকিম শুধুমাত্র বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন।”
প্রসঙ্গত, গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় হামলা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে পদ্মফুল শিবির। এই প্রসঙ্গে এদিন দিলীপবাবু বলেন, “গোটা বাংলা জুড়ে হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে। বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল, কোচবিহারের উদয়ন গুহ হলেন একই ধরনের মানসিকতার লোক। আসলে পশ্চিমবঙ্গে কোন সরকার রয়েছে কিনা, তা বোঝা মুশকিল। প্রশাসন বলে কিছুই নেই।”
পরবর্তীতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা নিয়ে বিজেপি নেতার কটাক্ষ, “সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মাঝেমধ্যে দর্শন দেওয়া ভালো, সেই কারণে সভা করছেন।”
প্রসঙ্গত, গতকাল ইডি অভিযান প্রসঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “এ সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা এবং হাওড়ায় ইডির বৃহত্তর অভিযান হতে চলেছে” আর তার ঠিক পরের দিনই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা, যা ঘিরে ইতিমধ্যে একাধিক জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এদিন দিলীপবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “তল্লাশি অভিযান চলছে। আরো অনেক মানুষকে গ্রেফতার করা হবে। অভিযুক্তদের যদি ধরা না হয়, তাহলে বাংলার মানুষ হতাশ হয়ে পড়বেন।”