একই সময়ের দুই প্রাণী ডাইনোসর (dinosaur) ও কুমির (crocodile) কিন্তু পৃথিবীতে গ্রহাণু আছড়ে পড়ার ফলে যখন ডাইনোসরেরা ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে গেল তখন তার থেকেও হাজার হাজার বছর পর কিভাবে টিকে আছে কুমিররা
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীতে গ্রহাণুর আছড়ে পড়ার ফলে ডাইনোসরদের দুভাবে ক্ষতি হয়েছিল। একদিকে যেমন ডাইনোসরদের অনেকগুলি মারা পড়েছিল গ্রহাণুর কারনে। তেমনই সেই সময় ডাইনোসরদের মধ্যে দেখা যায় খাদ্য সংকট। যার ফলে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় গোটা প্রজাতিটিই।
অন্যদিকে কুমিররা এর জন্য আগের থেকেই প্রস্তুত ছিল বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে সেই বিপর্যয়ের আগেই কুমীরদের এমন ভাবে পরিবর্তন হয়েছিল যে তারা যে কোনো পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নিতে পারে৷ এই তত্ত্ব ফের একবার চার্লস ডারউইনের survival of the fittest তত্ত্বকেই প্রমাণ করল।
পাশাপাশি কুমীরের শরীরের গড়নও অনেক বেশি মজবুত। ফলে গ্রহাণু আছড়ে পড়ায় যে প্রাকৃতিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা সয়ে নিয়েছিল এই উভচর প্রাণীকুল।
উভচর হওয়ায় আরো বেশ কিছু সুবিধাও পেয়েছিল কুমীররা। কুমীররা জলে ও ডাঙায় একই সাথে বাঁচতে পারো। জলের তলায় ১ ঘন্টা নিঃশ্বাস বন্ধ করেও অবলীলায় থাকতে পারে এই প্রাণী।
একই সাথে, প্রত্যেক প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য যে শক্তির প্রয়োজন কুমিরের ক্ষেত্রে সেই উৎসটি আলাদা। কুমির অন্য প্রাণী দের খাদ্য থেকে শক্তি সংগ্রহ করে না। তারা সূর্যালোক থেকে সরাসরি শক্তি সংগ্রহ করে। সব মিলিয়ে, চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও টিঁকে গিয়েছে সেই প্রাণীরা।