বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রাথমিক টেট ও ডিএলএড (Diploma in Elementary Education) পরীক্ষাগুলিকে কেন্দ্র করে একাধিক পদক্ষেপ গ্ৰহন করেছে পর্ষদ। পরীক্ষায় নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এমনকি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, ভুয়ো প্রার্থীর প্রবেশ রুখতে বা নজরদারির ঘাটতি এড়াতে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও, ব্যবহার করা হচ্ছে একের পর এক আধুনিক প্রযুক্তি।

কড়া নজরদারি টেট-ডিএলএড (Diploma in Elementary Education)পরীক্ষায়
জানা যাচ্ছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার মুখেই প্রার্থীদের জন্য থাকছে বায়োমেট্রিক স্ক্যানার। এছাড়াও, নিরাপত্তার জন্য থাকবে হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর ও বিশেষ ধরনের ‘সেশনাল ইনিশিয়েশন প্রোটোকল’ ফোন।প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পরিবহণেও থাকছে উন্নত প্রযুক্তির নজরদারি।
আগামী দু’মাসে ডিএলএডের (Diploma in Elementary Education) প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টারে পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্র মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার এই পরীক্ষায় ব্যবহার হবে নয়া প্রযুক্তি। পরীক্ষার্থীদের ওপর এআই নির্ভর সিসি ক্যামেরার নজরদারি চালানো হবে। পাশাপাশি কোন পরিদর্শক নজরদারির না করে দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে থাকলে অ্যালার্ট যাবে।
প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পরিবহনের গাড়িতে থাকবে জিপিএস প্রযুক্তি। যার ফলে, সমস্ত বিষয়টি ট্র্যাক করা যাবে। এছাড়াও গাড়ির দরজাগুলি খোলা হলেই বার্তা যাবে পর্ষদের কাছে। এমনকি প্রশ্ন পত্র খোলা হলেও যাবে বার্তা। আর এই সব ব্যবস্থার জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডেকেছে পর্ষদ। টেন্ডার সংস্থা গুলিকে ১১ জুলাই এর মধ্যে আবেদন জানাতে বলা হয়েছে পর্ষদের তরফে।
আরও পড়ুন: ‘নিজের হয়ে নিজেই লড়ুন’! চাকরিহারাদের নজিরবিহীন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
এই বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, টেট এবং ডিএলএডের (Diploma in Elementary Education) পরীক্ষায় আগেই কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তবে এবছর আরও কিছু নতুন সুরক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে পরীক্ষা স্বচ্ছ্বতা বজায় থাকে। সূত্রের খবর, উন্নততর প্রযুক্তি এবং লজিস্টিক্স ব্যবহারের ফলে বিগত কয়েক বছর নির্বিঘ্নেই হয়েছে ডিএলএড এবং প্রাথমিকের টেট। এবার সেই ব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো হল।
‘আমাদের পছন্দ ইসলাম, মুসলিমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না, হিন্দুরা করে’, TMC বিধায়কের দাবিতে শোরগোল