বাংলা হান্ট ডেস্ক : চাঞ্চল্যকর তথ্য কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীর মৃত্যুর (Kaliaganj Rape Case) ঘটনায়। উত্তর দিনাজপুরের পুলিস সুপার, জেলাশাসক ও উত্তরবঙ্গের আইজিপি-কে তলব করল জাতীয় তফসিলি কমিশন। গত রবিবার তফসিলি কমিশনের পক্ষ থেকে চেয়ারপার্সন অরুণ হালদার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।
তাঁর রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই পুলিস সুপার, জেলাশাসককে কমিশনের তরফ থেকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এমনকী ওই ঘটনার আইও বা তদন্তকারী আধিকারিকও উপস্থিত ছিলেন না বলে জানানো হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। এবার তিন আধিকারিককে দিল্লিতে তলব করা হল কমিশনের তরফে। ২৮ এপ্রিল অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ১১ টায় তলব করা হয় তাঁদের।
গত শুক্রবার কালিয়াগঞ্জে উদ্ধার হয় রাজবংশী পরিবারের এক ছাত্রীর দেহ। সেই ঘটনায় ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। দেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার ভিডিয়ো ঘিরেও বাড়ে বিতর্ক। মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরই রাজ্যে এসেছিল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। রাজ্যের পুলিস ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।
পরে ক্ষোভ উগরে দেন তফসিলি কমিশনের চেয়ারপার্সন অরুণ হালদারও। রবিবার মৃত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি সেই জায়গা পরিদর্শন করেন তিনি, যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনিও। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে করে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই তিন আধিকারিককে তলব করা হয়েছে।
কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় চার পুলিসকর্মীকে আগেই সাসপেন্ড করেছে জেলা পুলিশ। মৃতদেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ওই চারজনকে সাসপেন্ড করে রায়গঞ্জ পুলিশ। চারজনই এএসআই পদমর্যাদার। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার জানিয়েছেন, প্রাথমিক যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুযায়ী চার আধিকারিককে নির্বাসন দেওয়া হয়েছে।