বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকাল দিনে বিবাহ বিচ্ছেদ যেন ঘরে ঘরে। নেপথ্যে অবিশ্বাস থেকে বর্তমানে ডিভোর্সের সংজ্ঞা বাড়ছে। এছাড়াও এক সম্পর্ক থেকে অন্য কারো সঙ্গে শারীরিক বা মানসিকভাবে জড়িয়ে পড়ার উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি। তাছাড়া বর্তমান দিনে জন্ম নিয়েছে মাইক্রো চিটিং এর মতন শব্দ বন্ধ। যার অর্থ হলো মারাত্মক কিছু না ঘটিয়ে সম্পর্কে অবিশ্বাসের জন্ম দেওয়া। সেই নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উস্কিয়ে দিল আদালতের। সেখানে আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সমাজমাধ্যমে স্বামী অন্য মহিলার পোস্টে লাইক দিলে তা নিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ আবেদন জানাতে পারবেন স্ত্রী। আর এমনই রায় দিল তুরস্কের সুপ্রিম কোর্ট (Divorce Case) অফ অ্যাপিলস। আর এই বিষয়ে সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সমাজ মাধ্যমে।
একটি ‘লাইক’, ভাঙতে পারে সংসার! কোর্টের চাঞ্চল্য কর রায় (Divorce Case )
তুরস্কের সুপ্রিম কোর্ট (Divorce Case) অফ অ্যাপিলস এই রায় দিয়েছে। স্ত্রীর আবেদন মঞ্জুর করে, স্বামীকে ক্ষতিপূরণ ও খোরপোষ দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বার বার অন্য মহিলার পোস্টে লাইক ঠুকে ওই ব্যক্তি বৈবাহিক সম্পর্কের বিশ্বস্ততা বজায় রাখার কর্তব্য থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। এছাড়াও তুরস্কের কায়সেরির আদালতে প্রথম ওঠে মামলাটি।

আরও পড়ুন: পরীক্ষার সকালে স্বস্তি! PSC পরীক্ষার্থীদের জন্য মেট্রোর বিশেষ সময়সূচির ঘোষণা
সেখানে এক মহিলা স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালতে স্ত্রী জানান স্বামী তাঁকে অপমান করেছেন। পাশাপাশি তিরস্কার করেছেন বলে আদালতে জানান ওই মহিলা। তিনি দাবি করেন, অত্যধিক সময় সোশ্যাল মিডিয়াতেই কাটান স্বামী। অন্য মহিলাদের ছবি ও পোস্টে লাইক করতে থাকেন। এছাড়াও অন্য মহিলাদের ছবির নীচে স্বামী ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করেন বলে দাবি করেন ওই মহিলা।
ওই মহিলার আইনজীবীরা জানান, বৈবাহিক সম্পর্কের প্রতি যে আইনি দায়বদ্ধতা, বিশ্বস্ততা বজায় রাখা উচিত, তা লঙ্ঘন করেছেন ওই ব্যক্তি। যার ফলে স্বামীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য মহিলার। এমনকি বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই ব্যক্তি।
আদালত দুই পক্ষের মতামতই গুরুত্ব দিয়ে শোনে। শেষ পর্যন্ত স্বামীর দোষই বেশি বলে জানায়। আদালত জানায়, হঠাৎ কোনও ভুল ঘটিয়ে ফেলেননি ওই ব্যক্তি। বরং প্রকাশ্যে, ধারাবাহিক ভাবে একই আচরণ করে গিয়েছেন তিনি, যার সাক্ষী সকলেই। আর তাতেই মাসে মাসে স্ক্রীকে ২৫ পাউন্ড খোরপোশ এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ এককালীন ১৫০০ পাউন্ড দিতে বলা হয়।
এছাড়াও আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কোর্ট অফ ক্যাসেশন-এ যান ওই ব্যক্তি। বড্ড বেশি টাকা দিতে বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও উচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য মহিলার ছবিতে বার বার লাইক ঠোকায় বৈবাহিক সম্পর্কের বিশ্বততা ওই ব্যক্তি ভঙ্গ করেছেন ।
আদালেতর এই রায় সামনে আসার পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় আগামী দিনে স্ক্রিনশট, মেসেজ, ডিজিটাল রেকর্ড কোর্টে গ্রাহ্য হতে চলেছে বলে মন অনেকের (Divorce Case)।












