বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কালীপুজোর রাত শেষ হতেই ফের চাঞ্চল্য বীরভূমের (Bibhum) বোলপুরে। থানা চত্বরেই ডিজে বক্স বাজিয়ে পুলিশের উদ্দাম নাচ! অভিযোগ, এই ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন থানার ইনচার্জ লিটন হালদারও। তিনিও ‘চিকনি চামেলি’-র তালে কোমর দুলিয়েছেন বলে খবর। সেই নাচের ভিডিও ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ভিডিওটি ভাইরাল হতেই প্রশাসনিক মহল থেকে রাজনীতির অন্দরে শুরু হয়েছে শোরগোল।
বোলপুর (Birbhum) থানা চত্বরে ডিজে, উদ্দাম নাচ পুলিশের!
সূত্রের খবর, কালীপুজোর পরের দিন রাতে এই ঘটনা ঘটে বোলপুর থানার (Birbhum) ভিতরে। দেখা গিয়েছে, থানা চত্বরে মঞ্চের মতো করে বাজানো হচ্ছে ডিজে বক্স। পুলিশের কয়েকজন সদস্য আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে নাচছেন গানের তালে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইসি লিটন হালদারও। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে যে, থানা প্রাঙ্গণে এভাবে ডিজে বাজানো বা নাচা কি আইনসম্মত?
প্রসঙ্গত, রাজ্যের নানা প্রান্তে যেখানে শব্দবাজি এবং ডিজে বন্ধ রাখতে পুলিশ দিনরাত নজরদারি চালিয়েছে পুলিশ, সেখানে থানার ভেতরেই এমন উল্লাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষ! আইনরক্ষকই যদি আইন ভঙ্গ করেন, তাহলে আদর্শ কোথায়? এই প্রশ্ন উঠছে।
ভাইরাল ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বীরভূম (Birbhum) জেলা পুলিশের এক সূত্রের খবর, আইসি লিটন হালদারকে ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। জেলা পুলিশের কর্তারাও জানিয়েছেন, থানার ভেতরে এই ধরনের আচরণ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত, এই লিটন হালদারই একসময় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে। শাসকদলের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত প্রকাশ্যে তাঁকে গালিগালাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। অনুব্রতের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল FIR। পরবর্তীতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছিলেন কেষ্ট। তাই আবারও লিটন হালদারের নাম জড়িয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে প্রশ্ন উঠছে যে এবার কী বলবেন অনুব্রত? তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে খবর।

আরও পড়ুনঃ “আমাকে দল থেকে বের করে দিন!” ভোটের মুখে ‘বেলাগাম’ হুমায়ুন কবির, চাপে শাসক দল
বীরভূমের (Birbhum) এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলেছেন যে “যে রাজ্যে পুলিশই আইন মানে না, সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে ন্যায়বিচার আশা করবে?” এই ঘটনায় শাসক শিবিরের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন বলেই সূত্রের খবর।













