বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নেতাজির (Netaji)অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে এখনও গুঞ্জন রয়েছে বাঙালির মনে। নেতাজির হঠাৎ না থাকাটাকে এখনও মেনে নিতে পারেনি অনেকেই। স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর অবদান ছিল অপরিসীম। কোন কিছুর পরোয়া না করে দেশের জন্য লড়ে গেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর এই হঠাৎ অন্তর্ধানের রহস্য আজও অন্তরালেই রয়ে গেছে।
জাপানে (Japan) বিমান দুর্ঘটনার পর দেশে চরম সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই ঘটনার পরই সকলের সামনে আসেন এক সন্ন্যাসী, যিনি গুমনামি (Gumnami Baba) বাবা নামে পরিচিত। নেতাজির পরিবার না মানলেও অনেকেই তাঁকে নেতাজি বলে মনে করতেন। নেতাজি সুভাস চন্দ্র বোসের (Netaji Subhas Chandra Bose) সান্নিধ্যে থাকা কিছু মানুষ গুমনামি বাবার কাছে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলে বুঝতে পারেন তিনিই সকলের নেতাজি। কিন্তু এই কথা আবার তাঁর বাড়ির কেউই মানতে চান নি।
গুমনামি বাবাই নেতাজি ছিল কিনা, সেই রহস্য আরও একবার দানা বাঁধতে চলেছে। কলকাতার (Kolkata) সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির থেকে আসা একটি আরটিআইএর উত্তরে এই ধারণা আরও প্রবল হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। আরটিআই-এর সায়ক সেন (Sayak Sen) কলকাতার এই ল্যাবিরেটরির কাছ থেকে জানতে চান, যে তাঁদের কাছে গুমনামি বাবার দাঁতের ইলেক্ট্রোফেরোগ্রাম (Electrophherogram) আছে কিনা। তাঁদের কাছে গুমনামি বাবার দাঁতের ইলেক্ট্রোফেরোগ্রাম নেই বলে জানায় তাঁরা। এই ঘটনার জেরেই রহস্য আরও ঘনীভূত হয়ে উঠছে।
কোন ব্যক্তির দাঁতের ইলেক্ট্রোফেরোগ্রামের সঙ্গে কোন পরিবারের লোকজনের ডিএনএ (DNA) মিলিয়ে দেখা যায় যে উক্ত ব্যক্তি সেই পরিবারের সদস্য কিনা। কিন্তু এক্ষেত্রে এখন দাঁতের ইলেক্ট্রোফেরোগ্রাম না থাকলে, সেটা করা সম্ভব নয়। কিছুদিন আগে নেতাজির মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে ‘বিষ্ণু সহায় কমিশন’ ওই একই ল্যাবে জানান নেতাজি এবং গুমনামি বাবা দুজন আলাদা ব্যাক্তি। কিন্তু এই ঘটনার পর সেই রিপোর্ট নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠছে।