নন্দীগ্রামে তৃণমূলের দোলাকে ঘিরে ধরল তৃণমূলের লোকেরাই, উঠল বিরোধী স্লোগান

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হচ্ছে টা কী তৃণমূলে? এই প্রশ্নেই যখন জেরবার রাজ্যের শাসকদল তখনই আবারও একবার সামনে এলো দলের অন্দরের কোন্দলের ছবি। নন্দীগ্রামে দলেরই সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদেরই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তুঙ্গে রাজনৈতিক শোরগোল।

বৃ্হস্পতিবার নন্দীগ্রামে পার্টি অফিসে দলের একটি সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার কথা ছিল তৃনমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং সাংসদ দোলা সেনের। কিন্তু শেষমেষ এদিন নন্দীগ্রাম যাননি সুব্রত। একাই বৈঠকে যোগ দিতে যান দোলা সেন। আর সেখানে পৌঁছানো মাত্রই দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। রাস্তা আটকে আবু তাহেরের লোকজন আগে থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে। স্লোগান ওঠে, ‘বিজেপির স্বদেশ দূর হটো, অধিকারীদের দালাল স্বদেশ দূর হটো’।

কে এই স্বদেশ? নন্দীগ্রামে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি স্বদেশরঞ্জন দাস। তাঁর বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, দলীয় সংগঠনের কোনও খবরই পাচ্ছেন না তাঁরা। এদিনের বৈঠকের খবরটুকুও তাঁদের দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। এমনকি এই অভিযোগও ওঠে যে নন্দীগ্রামে স্বদেশরঞ্জন এবং তাঁর অনুগামীদের জন্যই বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই পরিস্থিতিতে বিষয়টিকে শান্ত করার চেষ্টা চালান দোলা সেন। আবু তাহেরকে তিনি অনুরোধ করেন সভায় যোগ দিতে। কিন্তু শেষমেষ বৈঠকে যোগ দেননি আবু তাহের। এই বিক্ষোভের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে অবশ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি জানান, ‘আমি এখানে সাংবাদিক সম্মেলন করতে আসিনি। এসেছি মিটিং করতে। আর কেউ ওঁরা বিক্ষোভ দেখাননি। ওঁরা আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন শুধু।’ তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে তীব্র শোরগোল ছড়িয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তা বলাই বাহুল্য।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর