বাংলা হান্ট ডেস্ক: গতবছর মার্কিন মুলুকে হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয়ী হন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ২০২৫-র ২০ জানুয়ারি তিনি হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয়বার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে থেকেই আমেরিকাকে নিয়ে ঠিক কি কি পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন সে কথা আগেই জানান। আর এবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের মাত্র আট ঘণ্টার মধ্যেই নিলেন বিরাট সিদ্ধান্ত।
WHO-র সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের (Donald Trump):
সোমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আর শপথ গ্রহণের আট ঘন্টার মধ্যেই তিনি একটি নির্দেশিকা জারি করেন। আর সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ WHO-র সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। যদিও এই সিদ্ধান্তের পিছনে বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে বলে জানা যায়। যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতেই সেই কারণ উল্লেখ করা হয়।
ঠিক কি কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন: জানা যাচ্ছে, WHO-র বিরূদ্ধে মূলত করোনা মহামারীর পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। সেইসময় করোনা অতিমারী পরিস্থিতির সঠিক ভাবে সামাল দিতে না পারার অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে। তবে শুধু অতি মহামারী নয় একই সাথে আরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। অভিযোগ, আমেরিকার কাছ থেকে অন্যায্যভাবে মোটা অঙ্কের অর্থর দাবি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার! কত টাকা বাড়ল? জারি বিজ্ঞপ্তি
আমেরিকা নয়া প্রেসিডেন্টের আরও দাবি করেন, চিনের থেকে তুলনামূলক ভাবে কম অর্থ নেওয়া হয়। এরকম অন্যায্যভাবে টাকা নেওয়ার পক্ষপাতিত্ব নন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আর ঠিক এই কারণগুলিকেই সামনে রেখে, তিনি সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোমবার শপথের পর নির্দেশিকায় সই করার সময়ে ট্রাম্প বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের ঠকিয়েছে। সবাই আমেরিকাকে ঠকিয়েছে। এসব আর চলবে না।”
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ‘রদবদল’ নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা! ফেব্রুয়ারিতেই ‘ফাইনাল ডিসিশন’?
বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য সংস্থা হচ্ছে WHO। বিশ্বব্যাপী কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা কিংবা উদ্বেগ দেখা দিলে সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা। আর এই সংস্থা বিভিন্ন দেশ থেকে অনুদান পেয়ে থাকে। সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী জানা যায়, বাইডেনের শাসনকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য সবচেয়ে বেশি অর্থ দিয়েছে আমেরিকা। এমনকি ২০২৩ সালের এই সংস্থার বাজেটের দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে, অর্থের এক পঞ্চমাংশ গিয়েছে আমেরিকার থেকে। আর এমতাবস্থায় আমেরিকার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হলে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। যদিও, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) এই সিদ্ধান্তের পর এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সংস্থার তরফ থেকে। তবে আগামী দিনে এই সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এখন সেটাই দেখার বিষয়।