অক্সিজেনের হাহাকার মেটাতে PM CARES থেকে দেড় লক্ষ অক্সি কেয়ার ইউনিট তৈরির ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে সারাদেশ ব্যাপী দেড় লক্ষ অক্সিকেয়ার ইউনিট তৈরির সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার। এই অক্সিকেয়ার ইউনিট তৈরি তত্ত্বাবধানে থাকবে ডিআরডিও। আজ নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশব্যাপী কোভিডের সুনামিতে অন্যতম সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে প্রাণবায়ু অক্সিজেন। মহামারীর আক্রমণে জর্জরিত রোগীদের ক্ষেত্রে রীতিমতো সমস্যা তৈরি করেছে অক্সিজেন লেভেল। প্রাণবায়ুর অভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে পড়েছেন বহু মানুষ। দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যের দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের ঘাটতি। বিশেষত কয়েকদিন আগে পর্যন্ত রীতিমতো সমস্যায় ছিলো দিল্লি।

এই কথা মাথায় রেখেই এবার দেশব্যাপী অক্সি কেয়ার ইউনিট তৈরির সি.দ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার। এই দেড় লক্ষ ইউনিট তৈরিতে খরচ পড়বে প্রায় ৩২২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। রোগীর প্রয়োজন ও তার SpO2 লেভেলের কথা মাথায় রেখে অত্যাধুনিক এই অক্সিকেয়ার ইউনিট তৈরি করেছে ডিআরডিও। প্রাথমিকভাবে দু’ধরনের ইউনিট তৈরীর কথা জানানো হয়েছে ডিআরডিও তরফে। প্রথম ইউনিটের ক্ষেত্রে ১০ লিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডার, একটি প্রেসার নিয়ন্ত্রক কাম ফ্লো কন্ট্রোলার, একটি হিউমিডিফায়ার এবং একটি ন্যাসাল ক্যানুলা রয়েছে। তবে এই ইউনিটটি মূলত নিয়ন্ত্রিত হয় মানুষের দ্বারা।

অন্য ইউনিটটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত হয় বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ায়। এক্ষেত্রে অক্সিজেনের মাত্রা অনুযায়ী ইউনিটটি নিজে থেকেই প্রেসার কমাতে ও বাড়াতে পারবে। যা অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী দের চাপ অনেকটা কমাতে সাহায্য করবে বলেই মত ডিআরডিওর।এরই সঙ্গে ইউনিটিতে যুক্ত থাকবেন নন ব্রিদার মাস্কও। যা প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ অক্সিজেন বাঁচাতেও সাহায্য করবে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন সংস্থাকে অক্সি কেয়ার ইউনিট তৈরির ফর্মুলা পাঠিয়ে দিয়েছে ডিআরডিও। এর ফলে সারাদেশব্যাপী দ্রুতগতিতে কাজ করা সম্ভব হবে।

আজ নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই অত্যাধুনিক মেশিনের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “পিএম কেয়ার ফান্ডের মাধ্যমে সারা দেশব্যাপী দেড় লক্ষ অক্সি কেয়ার ইউনিট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই অত্যাধুনিক ইউনিট নির্মান করেছে ডিআরডিও এবং এর বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে।”

কোভিড যুদ্ধে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত আগামী দিনে নিশ্চয়ই অনেকখানি লাভজনক হয়ে উঠতে পারে চিকিৎসা ক্ষেত্রে। এখন কত তাড়াতাড়ি এই কাজ শুরু হয় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

X