বাংলা হান্ট ডেস্ক : তুলকালাম কাণ্ড ব্যারাকপুরে (Barrackpore)। হোলি খেলার সময়ে মদ খেয়ে এলাকায় গালাগালি। তারই প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এসেছিলেন এক প্রাক্তন সেনা আধিকারিক। জানা যাচ্ছে ওই ব্যক্তি কারগিল যুদ্ধেও লড়াই করেছেন। এরপর ওই প্রাক্তন সেনার ঘরে ঢুকে তাঁকে ও তাঁর দুই ছেলেকে বেদম পেটাল কয়েকজন মত্ত যুবক। এমনই অভিযোগ করেন ওই প্রাক্তন সেনা আধিকারিক।
ব্যারাকপুরের সিউলি পঞ্চায়েতের কলেজপাড়ার বাসিন্দা জন্মেজয় মাহাতো। একসময় কারগিল যুদ্ধ অংশ নিয়েছিলেন। হোলির দিন তাদের পাড়ার এক মত্ত যুবক পাড়ায় ঢুকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালি করছিল। তারই প্রতিবাদ করেন জন্মেজয় মাহাতোর ছেলে জগদীশ মাহাতো ও সমীরণ মাহাতো। তখনকার অবশ্য বিষয়টি মিটে যায়।
ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই দলবল নিয়ে জন্মঞ্জয় মাহাতোর বাড়িতে চড়াও হয় একদল যুবক। অভিযোগ, জন্মেজয়ের ঘরে ঢুকে গালাগালি শুরু করে। প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেন জন্মেজয়। তখনই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে যুবকরা। শুরু হয় মারধর।
জন্মেজয়-সহ তার দুই ছেলে বেধড়ক মারধর করে যুবকরা। মারের চোটে কলার বোন ভেঙে যায় জগদীশের, পা ভাঙে তার ভাই সমীরণের। ছেলেদের বাঁচাতে এসে বেধড়ক মার খান জন্মেজয়বাবুও। ঘুঁসি এসে লাগে তার চোখে। যাওয়ার সময়ে দুষ্কৃতীরা শাসিয়ে যায়, যেখানে পার যাও। কিচ্ছু করতে পারবে না। ওই ঘটনার পর আহত অবস্থায় জন্মেজয়বাবু ও তার দুই ছেলের চিকিৎসা হয় এলাকার একা বেসরকারি নার্সিং হোমে। গোটা ঘঠনা জানিয়ে মোহনপুর থানায় অভিযোগ জানান জন্মেজয়বাবু। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
অন্যদিকে, ওই ঘটনা নিয়ে সিউলি পঞ্চায়েত প্রধান অরুণ ঘোষ বলেন, এটা ওদের পারিবারিক ঝামেলা। এখানে তৃণমূল কোন ভাবে জড়িত নয় বা আমি কাউকে এ ধরনের কাজে প্রশ্রয় দিই না।