বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় হেনস্থার শিকার হল এক মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষার্থী। টিকিট (Ticket) না থাকায় অ্যাডমিট কার্ড (Admit Card) দেখিয়েও লাভ হয় না। পরীক্ষার্থী এবং তাঁর দিদিকে হেনস্থা করে বারুইপুর (Baruipur) স্টেশনের টিটি। জোর করে তাঁদের ব্যাগ থেকে ৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয় টিটি। ঘটনার প্রতিবাদে বারুইপুর জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর মামা।
গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় বহুবার বহু ছাত্র-ছাত্রীকে সাহায্য করবার কথা শোনা গিয়েছে। কিন্তু এই প্রথম অমানবিকতার নজির গড়লেন এক টিটি। রাধানগর উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে কর্মশিক্ষার প্রোজেক্ট জমা দিতে যাচ্ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জয়ন্তী। মামাতো দিদি প্রমীলা কয়াল ছিল তাঁর সঙ্গে।
রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম থাকায় ট্রেনের টিকিট কাটবার সময় পাননি তাঁরা। বারুইপুর ১ নং স্টেশনে তাঁরা যখন দাঁড়িয়ে ছিল, তখন এক টিকিট পরিক্ষক এসে তাঁদের কাছে টিকিট দেখতে চান। টিকিট দেখাতে না পারায় জয়ন্তী তাঁর অ্যাডমিট কার্ড দেখায়। কিন্তু তাতে বিশ্বাস না করে ২৬০ টাকা ফাইন দাবী করে সেই টিটি। ফাইন দিতে না পারায় তাঁদের হেনস্থা করে তাঁদের থেকে ৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয় সেই টিকিট পরীক্ষক।
ঘটনার প্রতিবাদে বারুইপুর জিআরপি থানায় অভিযোগ জানায় ওই ছাত্রীর মামা। এই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ধামুয়ার আলদে এলাকার বাসিন্দা জয়ন্তী পুরকাইত। সে ধামুয়া আলদে বগনর হাইস্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। লেখা পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর দিদি প্রমীলা কয়ালকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাধানগর (Radhanagar) উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে কর্মশিক্ষার প্রোজেক্ট জমা দিতে যাচ্ছিল। মাঝরাস্তায় তাঁর সাথে এই ঘটনা ঘটায় পরীক্ষা দিয়ে না পারায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সে। জয়ন্তী জানায়, ‘আমি এভাবে পরীক্ষা দিতে পারলাম না, সেটা ভাবতেই পারছি না।’ স্টেশনের প্রতক্ষ্যদর্শীরা বিষয়টি দেখলেও, অন্য টিকিট পরীক্ষকরা বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এমনকি রেলের তরফ থেকেও এবিষয়য়ে কিছু শোনা যায়নি।