বাংলা হান্ট ডেস্ক: বল দুর্গা মা কি, জয়’ কিংবা ‘পূজো পূজো পূজো, প্রেমের গন্ধ লেগেছে; তোমার আমার ভালবাসার গল্প জমেছে’ এমন হাজারো গানের কলি আমাদের দুর্গা মায়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। অশুভ শক্তির বিনাশ আর ধর্ম রক্ষায় যুগে যুগে দেবতাদের আবির্ভাব হয়েছে। তেমনি অসুর কূলের হাত থেকে দেবগণকে রক্ষায় দেবী দুর্গার আগমন ঘটে। পৃথিবীতে যখনই ধর্মের গ্লানি হয় এবং পাপ বৃদ্ধি পায় তখনই দেবতারা পার্থিব ওর রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন।
মহিষাসুরমর্দিনী মহাদেবীর আবির্ভাব ঘটে এই পুণ্য তিথিতে। মহালয়া তিথিতে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। এদিন শ্রী শ্রী চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দেবীপক্ষ হলো অসুরের বিরুদ্ধে দেবীর সংগ্রামের পক্ষ। অসুরের বিরুদ্ধে দেবীর জয় সূচিত হয়। মহালয়ার অমাবস্যার পর শুক্লপক্ষে দেবীর পূজা শুরু হয়।
নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে দুর্গা বাহিনীর সদস্য সংগ্রহ চলবে। ১০ টাকার বিনিময়ে সদস্যপদ দেওয়া হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সি মহিলাদের। ত্রিশ পার মহিলাদের মাতৃশক্তির সদস্য করা হচ্ছে। ১৯৯১ সালে সাধ্বী ঋতম্ভরা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের(ভিএইচপি) মহিলা সংগঠন দুর্গা বাহিনীর প্রতিষ্ঠা করেন। বিজেপি শাষিত বিভিন্ন এলাকায় একাধিকবার বিতর্কে জড়ালেও পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন পর্যন্ত দুর্গা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল নগন্য। সূত্রের খবর, কিছু দিন হল সেই অবস্থা কার্যত আমূল বদলে গিয়েছে। এখনও বাংলায় দুর্গা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। ২০১৫ সালেও ওই সংখ্যা ছিল ১২ হাজারের কম। ভিএইচপি’র আরেকটি নারী সংগঠন মাতৃশক্তির সদস্য সংখ্যাও এ রাজ্যে প্রায় ২০ হাজার।
ভিএইচপি সূত্রের খবর, ডিসেম্বর জুড়ে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় অঞ্চল ভিত্তিতে পরপর হিন্দুত্ববাদী কর্মসূচি নেওয়া হবে।