উলটে গেল হিসেব, দুর্গাপুর ধর্ষণ কাণ্ডে ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে? ধরিয়ে দিলেন নির্যাতিতা স্বয়ং

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপুরে মেডিকেল পড়ুয়া ধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Rape Case) এল নতুন মোড়। গত শুক্রবার টিআই প্যারেডে অভিযুক্তদের শণাক্ত করেছিলেন নির্যাতিতা। সোমবার দুর্গাপুর (Durgapur Rape Case) মহকুমা আদালতে মামলা চলাকালীন এজলাসে খোলা হয় টিআই প্যারেডের রিপোর্ট। সেখানেই জানা যায়, ওই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কে ছিল। টিআই প্যারেডে তাকে চিনিয়ে দিয়েছেন নির্যাতিতা।

দুর্গাপুর ধর্ষণ কাণ্ডে (Durgapur Rape Case) টিআই প্যারেডের রিপোর্ট প্রকাশ

সোমবার এজলাসে টিআই প্যারেডের রিপোর্ট খোলা হয়। জানা যাচ্ছে, রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, নির্যাতিতার সহপাঠী বাদ দিয়ে বাকি যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন ধর্ষণ (Durgapur Rape Case) করেছে বলে উল্লেখ রয়েছে টিআই প্যারেড রিপোর্টে। এদিন ছয় জন অভিযুক্তকেই আদালতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পেশ করা হয়।

Durgapur rape case main accused identified by victim

মূল অভিযুক্ত কে: নির্যাতিতার আইনজীবীর অনুরোধেই এদিন টিআই প্যারেডের রিপোর্ট খোলা হয়। তিনি বলেন, মূল অভিযুক্ত একজন হলেও বাকি পাঁচজন কোনো না কোনোভাবে যুক্ত রয়েছে এই ঘটনায়। এটি গণধর্ষণ (Durgapur Rape Case) বলেই দাবি করেন নির্যাতিতার আইনজীবী। দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক শুভ্রকান্তি ধর দ্রুত এই মামলার নিস্পত্তির জন্য নির্দেশ দেন। এর আগে পাঁচদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অভিযুক্তদের। আগামী শুনানি রয়েছে ৩১ অক্টোবর।

আরও পড়ুন :  SIR নিয়ে কোনও প্রশিক্ষণই নেই নতুন আধিকারিকদের! রাজ্যের ‘চালে’ মাথায় হাত নির্বাচন কমিশনের

পাঁচজনকেই শণাক্ত করেন নির্যাতিতা: গত শুক্রবার দুর্গাপুর (Durgapur Rape Case) উপ সংশোধনাগারে হয় টিআই প্যারেডের প্রক্রিয়া। সেদিন উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক রাজীব সরকার। প্যারেডে দেখা মাত্রই ওই পাঁচ যুবককে শণাক্ত করেন নির্যাতিতা মেডিকেল ছাত্রী (Durgapur Rape Case)। এদিন আরও তিনজনকে রাখা হয়েছিল ‘ডামি’ হিসেবে। তবে ধৃত পাঁচ যুবককেই শণাক্ত করেন নির্যাতিতা।

আরও পড়ুন : তিনি যা খান তা কেউই খেতে চায় না, কী এমন থাকে মহুয়ার লাঞ্চে?

প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন নিজের পুরুষ সহপাঠীর সঙ্গে ফুচকা খেতে বেরিয়েছিলেন নির্যাতিতা মেডিকেল ছাত্রী। সে সময়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী এই ঘটনা ঘটায়। প্রথমে ঘটনাটিকে গণধর্ষণ বলা হলেও পরে পুলিশ জানায়, তা ধর্ষণ। নির্যাতিতার আইনজীবী পুরুষ সহপাঠীর দিকেও আঙুল তুলেছিলেন আগে। তবে টিআই প্যারেডের রিপোর্টে জানা গেল অভিযুক্ত ভিন্ন।