বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দ্বিতীয়বার লকডাউন ঘোষণা হতে না হতেই মদের দোকানের সামনে লাইন দেখে চোখ রীতিমতো কপালে উঠে গিয়েছিল চিকিৎসকদের। সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মাথায় তুলে যেভাবে দীর্ঘ লাইন দিয়েছিলেন সূরাপ্রেমীরা, ছবিটা ছিল রীতিমতো আতঙ্কের। একদিকে যখন ব্ল্যাকে একশো টাকার বোতলের জন্য পনেরশো থেকে দুহাজার টাকা খরচ করতেও রাজি ক্রেতারা। তখন চাহিদামত যোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন দোকানদাররা। আর করোনার ভয়ে সে তো ছিলই। অন্যদিকে মদের বিক্রি থেকে বড় পরিমাণ ট্যাক্স আসে রাজ্যেরও। একদিকে যখন রীতিমতো বেহাল দশা অর্থনীতির, তখন এভাবে ট্যাক্স বন্ধ হলে চলবে কি করে?
দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশনের মত দুয়ারে পৌঁছাবে মদওঃ
সমস্ত কথা মাথায় রেখেই এবার এক অভিনব পদ্ধতি প্রচলন করল রাজ্য সরকার। নির্বাচনের আগে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল তৃণমুল সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্প। নির্বাচনের পর দুয়ারে রেশন দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আর এবার করোনার কবল থেকে সূরা প্রেমীদের রক্ষা করতে ‘দুয়ারে মদ’ প্রকল্প শুরু করল রাজ্য সরকার। এর ফলে দোকানের সামনে আর লাইন দিতে হবে না ক্রেতাদের। শুধু তাই নয় কেউ কিনতে হবে না মদ। সামান্য অর্থের বিনিময়ে দোকানের কর্মীরাই এসে মদ পৌঁছে দিয়ে যাবেন আপনার বাড়িতে।
বাড়ি বসে কিভাবে মিলবে মদঃ
এই প্রকল্পের জন্য আবগারি দপ্তরে ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে আপনাকে। নিজের নাম বয়স অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে আশেপাশের মদের দোকানের একটি তালিকা দেখানো হবে আপনাকে। আর সেখান থেকেই আপনি বেছে নিতে পারবেন পছন্দের ব্র্যান্ড। তারপর আর কি? সামান্য অর্থ বেশি খরচ করলেই প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে যাবে আপনার বাড়িতে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি সূরা প্রেমীরা। অন্যদিকে চাপ কিছুটা কমছে রাজ্য সরকারেরও। একদিকে যেমন মিলবে ট্যাক্স, অন্যদিকে তেমনি কমবে করোনার ভয়ও। তবে অবশ্যই ক্রেতাদের অর্ডার দিতে হবে সকাল দশটা থেকে রাত আটটার মধ্যে
সিদ্ধান্তে খুশি দোকানদাররাওঃ
সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি মদ-বিক্রেতারাও। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে গিয়েছে এই প্রকল্প। এক দোকানদার জানান, “লকডাউন এর সমস্ত দোকানপাট বন্ধ। তাই ই-রিটেলের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা করেছে সরকার। ওদের ওয়েবসাইটে গিয়ে লগ ইন করলেই আপনার চাহিদামত ডিজিটাল এর মাধ্যমে পৌছে যাবে মদ। এভাবে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।”